বৃহস্পতিবার মাগুরায় তিনি বলেন, আগামী ৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার বিএনপির নেতাকর্মীদের রাস্তায় নামতে দেওয়া হবে না। রস্তায় নামলেই সারাদেশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তাদের প্রতিহত করবে।
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, চারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত অ্যাডভোকেট আছাদুজ্জামানের ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিকালে শহরের নোমানী ময়দানে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
যারা বঙ্গবন্ধুকে কটাক্ষ করে অসম্মানজক উক্তি করে তাদের রাস্তায় নামার সুযোগ নেই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, “যারা স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে আঁতাত করে তাদের সঙ্গে রোজ কেয়ামত পর্যন্ত আওয়ামী লীগ কোনো আলোচনা বা সংলাপে বসবে না।”
৫ জানুয়ারি শেখ হাসিনা গণতন্ত্র রক্ষা করেছেন। ওইদিন নির্বাচন না হলে দেশে অগণতান্ত্রিক সরকার জেঁকে বসত বলে মনে করেন নাসিম।
এদেশে নির্বাচন ছাড়া কখনও ক্ষমতা বদল হবে না। জনগণের ভোটে নির্বাচিত এ সরকার মেয়াদের একদিন অগেও ক্ষমতা ছাড়বে না, যে কারণে ২০১৯ সালের আগে দেশে কোনো জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না, বলেন নাসিম।
বাসে আগুন দিয়ে, পুলিশ মেরে, স্কুল পুড়িয়ে তিনি নির্বাচন প্রতিরোধের ব্যর্থ চেষ্টা করেছেন। তাই এখন আর বিএনপির সঙ্গে কোনো আলোচনা নেই।
মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তানজেল হোসেন খানের সভাপতিত্বে নোমানী ময়দানে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেট সোসাইটির চেয়ারম্যন মো. সিরাজুল আকবর, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সকালে শোক শোভাযাত্রা, মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কোরআনখানি ও দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করা হয়।
এর আগে দুপুরে মন্ত্রী মাগুরা ২৫০ শয্যার হাসপাতাল ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।