বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শান্তিনগরে সোহেলের বাসায় এবং রাতে রায়ের বাজারে গয়েশ্বর রায়ের বাসায় পুলিশ অভিযানে যায় বলে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তবে এই অভিযানের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দুই থানার ওসিই কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন। উভয়েই বলেছেন, তাদের থানার পুলিশ এই অভিযান চালায়নি।
অভিযানের সময় দুই নেতা তাদের বাসায় না থাকলেও তাদের পরিবারের সদস্যরা ছিলেন।
ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সোহেলের বাসা শান্তিনগরের কর্ণফুলী গার্ডেন সিটির পেছনে।
সোহেলের সহকারী কবীর হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে একদল পুলিশ বাসায় ঢোকে। তারা আধা ঘণ্টা বিভিন্ন কক্ষ তল্লাশি করে চলে যায়।
এই অভিযানের বিষয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জিজ্ঞাসায় রমনা থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন, “আমরা কোনো অভিযান চালাইনি। অন্য কোনো সংস্থা করে থাকতে পারে।”
খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরাকে কেন্দ্র করে বুধবার বকশীবাজারে সংঘর্ষের ঘটনায় শাহবাগ থানায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের আসামি করে পুলিশ যে মামলা করেছে, তাতে সোহেল আসামি।
রাত সোয়া ৮টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরের রায়ের বাজার বাসায় পুলিশ ঢোকে বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
তারা বলেন, পোশাকধারী এবং সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যরা বাসার প্রতিটি কক্ষে তল্লাশি চালায়।
এই বিষয়ে হাজারীবাগ থানার ওসি মাইনুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার থানা এলাকায় গয়েশ্বরের বাসায় অভিযানের বিষয়ে কোনো তথ্য তার জানা নেই।
গয়েশ্বর রায় বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে স্বাধীনতা ফোরামের এক আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সেখানে তিনি মামলা নিয়ে সরকারের কড়া সমালোচনা করে একই পরিণতি ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগেরও হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।