সংঘর্ষ ‘থামাতে’ গিয়েছিলেন ছাত্রলীগ নেতারা

বকশীবাজারে বিএনপিকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ নাকচ করে ছাত্রলীগ সভাপতি এ এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ দাবি করেছেন, সেখানে তার সংগঠনের নেতারা গিয়েছিলেন সংঘর্ষ থামাতে।

ঢাবি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Dec 2014, 01:46 PM
Updated : 25 Dec 2014, 01:46 PM

বুধবারের ওই সংঘর্ষের জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করে বিএনপির অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন তিনি।

সোহাগ বলেন, “সকালে ঢাকা মেডিকেল ও বুয়েটে বিএনপি নেতাকর্মীরা ধ্বংসলীলা শুরু করে। পরবর্তীতে বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা এর প্রতিবাদ করলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।

“ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতারা ওই বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদেরকে নিয়ন্ত্রণে আনলে সংঘাত এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয়।”

একটি মামলায় আদালতে খালেদা জিয়ার হাজিরাকে কেন্দ্র করে বুধবার বকশীবাজার এলাকায় বিএনপি ও সরকার সমর্থকদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে রূপ নিয়েছিল। ছাত্রলীগ সভাপতিসহ জ্যেষ্ঠ কয়েকজন নেতাকে দুপুরে সংঘর্ষের সময় ওই এলাকায় দেখা গিয়েছিল।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, ছাত্রলীগ সভাপতি সোহাগের নেতৃত্বেই ওই হামলা হয় এবং উদ্দেশ্য ছিল খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা।

সংঘাতের জন্য নিজেদের দায় অস্বীকার করে সোহাগ বলেন, “বিএনপির পক্ষ থেকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে এবং এ ঘটনার দায় ছাত্রলীগের ওপর চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।”

তিনি দাবি করেন, বুধবার সকাল থেকে বিএনপি বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার ‘সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারীদের’ জড়ো করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশেপাশে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।

সংঘর্ষের সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেত্রকোনা-১ আসনে আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাসের ওপর হামলার জন্য বিএনপিকে দায়ী করে এতে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন সোহাগ।

“ছবি বিশ্বাসের ওপর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আক্রমণ করে, গাড়িতেও আগুন দেয়। এগুলো কি প্রমাণ করে না, এ ঘটনার দায় বিএনপির এবং তার অংঙ্গ সংগঠনের?”

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ সভাপতি আবারও বলেন, আগামী ২৭ ডিসেম্বর গাজীপুরে ভাওয়াল বদরে আলম কলেজ মাঠে তারা সমাবেশ করতে অনড়।

ওই দিন সেখানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জনসভার কথা রয়েছে। ছাত্রলীগও একই দিন সমাবেশ ডাকার পর বিএনপিও জনসভা করতে অনড় অবস্থান জানিয়েছে। ফলে দেখা দিয়েছে উত্তেজনা।

‘সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির বিভিন্ন মিথ্যাচারের প্রতিবাদে’ ডাকা ছাত্রলীগের সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম, সহ-সভাপতি জয়দেব নন্দী ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।