বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নেত্রকোনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাসকে দেখতে এসে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “তাদের (বিএনপি) অভ্যাস এমনই। হাসপাতালের মতো নিরাপদ স্থানেও এমপিদের মধ্যে অত্যন্ত ভদ্র ছবি বিশ্বাসকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়।”
দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হাজিরার দিন থাকায় বুধবার বিএনপি নেতাকর্মীরা বকশীবাজারে অবস্থান নিলে সরকার সমর্থকদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বেঁধে।
এক পর্যায়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাসের ওপর হামলা চালিয়ে তার গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সাংসদ মাথায় আঘাত পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
সংঘাতের জন্য ক্ষমতাসীনদের দায়ী করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, ছাত্রলীগ সভাপতি এ এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগের নেতৃত্বে বিএনপিকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িবহরে আক্রমণ।
সংঘর্ষ ও সাংসদের ওপর হামলার ঘটনায় বুধবার রাতেই দুটি মামলা করেছে পুলিশ, যাতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবদুল আওয়াল মিন্টু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিবুন নবী খান সোহেল, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আজিজুল বারি হেলালসহ ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান নেতাদের আসামি করা হয়েছে।
তবে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন সংবাদপত্রে সংঘর্ষের যেসব ছবি প্রকাশিত হয়েছে তাতে সরকারসমর্থকদের হাতে লাঠি, বাঁশের পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্রও দেখা গেছে।
এ বিষয়ে কিছু না বলে আদালতের আশেপাশে বিএনপিকর্মীদের জমায়েত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। তার ভাষায়, একটি ‘পরিস্থিতি সৃষ্টির’ চেষ্টা হলেও পুলিশ তা ব্যর্থ করে দিয়েছে।
“আদালতের মতো নিরাপদ স্থানে হাজার হাজার নেতাকর্মী আসার কি প্রয়োজন ছিল? উদ্দেশ্য ছিল বিচার কাজকে ভণ্ডুল করা।”
আসামিদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান।