আগামী ২৪ জানুয়ারি তাকে ঢাকার হাকিম আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে।
আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সহ-সভাপতি এস এম নূর-ই-আলম সিদ্দিক গত ১ সেপ্টেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ অভিযোগ দায়ের করেন।
তার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে পল্টন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তোফায়েল আহমেদ বৃহস্পতিবার আদালতকে প্রতিবেদন দেন। তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে পুলিশ প্রতিবেদনে জানান তিনি।
এর ভিত্তিতে মহানগর হাকিম অমিত কুমার দে মামলাটি গ্রহণ করে ফখরুলের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন বলে বাদীর আইনজীবী দুলাল মিত্র ও শরিফুল ইসলাম জানান।
দুলাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ২৪ অগাস্ট পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল প্রধানমন্ত্রীকে ‘খুনি’ ও তার দলকে ‘খুনির দল’ বলায় এই মামলা।
আর্জিতে বলা হয়, “বিষয়টি ওই দিন বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ও অনলাইনে এবং পরের দিন বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এতে ব্যক্তিগত, সামাজিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বাদীর নেত্রীর মানহানি হয়েছে।”
ওই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মুখপাত্র মির্জা ফখরুল বলেন, “গতকাল এক অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান খুনি। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের আন্দোলনকে তিনি খুনের আন্দোলন বলেছেন।
“আমরা বলতে চাই, সমগ্র জাতি জানে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসে শেখ হাসিনার পেটোয়া বাহিনী প্রায় ৫ শতাধিক আন্দোলনরত নেতা-কর্মীকে র্যাব-পুলিশকে দিয়ে হত্যা করেছে। ৬৫ জনকে গুম করা হয়েছে। শেখ হাসিনা নিজে খুনি, তার দল খুনের দল। শত শত নিরীহ তরুণের রক্তে তার হাত রঞ্জিত।”
আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলামকে নিয়ে মন্তব্যের কারণে মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে আরেকটি মানহানির মামলা হয়েছিল, বাদীর টানা অনুপস্থিতির কারণে যেটি আদালত বুধবার খারিজ করে দেয়।