সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক মো. মোমতাজ উদ্দিন মেহেদীর এই নোটিস বুধবার রেজিস্ট্রি ডাকে তারেকের মা খালেদা জিয়া এবং বিএনপি কার্যালয়ের ঠিকানায় পাঠানো হয়।
নোটিসে তারেককে বক্তব্য প্রত্যাহার করে সাত দিনের মধ্যে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। তা করা না করা হলে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন এই আইনজীবী।
নোটিসে বলা হয়, “বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ার পরও আপনার মধ্যে রাজনৈতিক পরিপক্কতা ও ইতিহাসের জ্ঞান নেই।”
বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার লন্ডনে বিএনপির এক আলোচনা সভায় তারেক দাবি করেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যদি ৭ মার্চ সেনাবাহিনীর বাঙালি অফিসারদের নিয়ে যুদ্ধ শুরু করতেন, তাহলে যে ‘সামান্য সংখ্যক’ পাকিস্তানি সৈন্য তখন ছিল, তাদের সহজেই পরাজিত করা যেত; প্রাণহানি ও অর্থনৈতিক ক্ষতি ‘অনেক কমানো’ যেত।
“এই সব কিছু জানার পর এর জন্য আমরা এককভাবে কাকে দায়ী করতে পারি? শেখ মুজিবকে। এবং আমরা তাকে যেভাবে রাজাকার বলেছি, আমরা তথ্য প্রমাণ সত্য দিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করে তাকে বলেছি- রাজাকার। আমরা সত্য ঘটনাবলীর ভিত্তিতে বলেছি সে ছিল পাকবন্ধু।”
ওই বক্তব্যের মাধ্যমে ইতিহাস বিকৃতি করে তারেক রহমান ‘গর্হিত কাজ’ করেছেন বলে নোটিসে উল্লেখ করা হয়।
পরিবার নিয়ে গত ছয় বছর ধরে লন্ডনে অবস্থান করা তারেক সাম্প্রতিক সময়ে টানা কয়েকটি সভায় বাংলাদেশের ইতিহাসের নিজস্ব ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়ে বিতর্কিত হয়েছেন।
তার বক্তব্যের জন্য মানহানির অভিযোগে বাংলাদেশের আদালতে কয়েকটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে একটিতে জারি হয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।