দল ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতা-কর্মীর অংশগ্রহণে মঙ্গলবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে শুরু হয়ে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয় এই শোভাযাত্রা।
বিশাল এ বিজয় শোভাযাত্রায় বিজয়ের আনন্দে উদ্বেলিত সবার কণ্ঠেই ছিল স্লোগান- ‘স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবিরমুক্ত সোনার বাংলা’।
শোভাযাত্রা শুরুর আগে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনের রাস্তায় খোলা ট্রাকে অস্থায়ী মঞ্চে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর নেতারা বক্তব্য রাখেন।
বিকাল ৪টার কিছুক্ষণ আগে শুরু হয় শোভাযাত্রা। এর আগেই বিকাল ৩টার আগেই শাহবাগ থেকে মৎস্য ভবন পর্যন্ত সড়ক ভরে যায় ক্ষমতাসীন দলের কর্মী-সমর্থকে।
ঢাকা মহানগরীর ১৫টি নির্বাচনী এলাকা, ৪১টি থানা এবং শতাধিক ওয়ার্ড থেকে অজস্র মিছিল এসে একত্রিত হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সামনে।
আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
একাত্তরের বিজয়কে প্রতীকী ট্যাংক, কামান, যুদ্ধবিমান নিয়েও মিছিল আসেন অনেকে। মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে রাজাকারের আত্মসমর্পণের প্রতীকী দৃশ্যও তুলে আনা হয় শোভাযাত্রায়।
যুব মহিলা লীগের কর্মীরা লাল-সবুজ রংয়ের শাড়ি পরে মিছিলে অংশ নেন। আওয়ামী লীগের কর্মীদের পরনে ছিল জাতীয় পতাকা খচিত টি-শাট, পাঞ্জাবি কিংবা ফতুয়া।
খোলা ট্রাকে মাইকে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ও মুক্তিযুদ্ধে উজ্জীবনী দেশাত্মবোধক সঙ্গীত বাজাতে দেখা গেছে। ঘোড়ার গাড়ি ও হাতিও ছিল শোভাযাত্রায়।
শোভাযাত্রার আগে সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, খালেদা জিয়া আন্দোলনের হুংকার দিলেও অতীতের মতোই ব্যর্থ হবে।
“আপনার রোড ফর ডেমোক্রেসিতে কাজের বুয়া ছাড়া কেউ আসেনি। ৫ মে হেফাজতকে দাওয়াত দিয়ে ঢাকায় এনেও কাজ হয়নি। তারা মসজিদ ও পবিত্র কোরআনে আগুন দিয়ে গেছে।”
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, “জনগণ খালেদা জিয়ার ডাকে সাড়া দেবে না। ৫০০-১০০০ মানুষ নিয়ে সরকার পতনের স্বপ্ন দেখে লাভ নেই। রাজপথে আসুন আন্দোলন দেখিয়ে দেব।”
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাহাঙ্গীর কবীর নানক, কামরুল ইসলাম, ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, মুকুল চৌধুরী, আওলাদ হোসেন, যুবলীগের মুজিবুল হক চৌধুরী, শ্রমিক লীগের ফজলুল হক মন্টু, যুব মহিলা লীগের নাজমা আক্তার, স্বেচ্ছাসেবক লীগের পংকজ দেবনাথ, ছাত্রলীগের এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ।