তিনি বলেছেন, “সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে আপনার এতো মাথাব্যথা কেন? উপদেষ্টাতো আরও আছে, ইমাম-মোয়াজ্জেনরা আছেন। তারা তো বেতনও পান, গাড়ীও ব্যবহার করেন।
“আর এরা অবৈতনিকভাবে রাষ্ট্রের সেবা করবেন, এর চেয়ে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে আর কি চাওয়ার থাকতে পারে।”
সোমবার ইন্সটিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন সুরঞ্জিত।
শনিবার নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে এক জনসভায় খালেদা জিয়া বলেন, “পত্রিকায় এসেছে, তার (শেখ হাসিনার) ছেলে ২ লাখ ডলার বেতন নিচ্ছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। কী অ্যাডভাইজারি করে যে তাকে এত বেতন দিতে হয়? বাংলাদেশের কোনো অ্যাডভাইজরের এতো বেতন আছে কি?
সুরঞ্জিত বলেন, “নারায়ণগঞ্জে তিনি (খালেদা জিয়া) যে বক্তব্য দিয়েছেন, এ জাতীয় রাজনৈতিক হিংসা বা বিদ্বেষপরায়নতা জাতিকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেবে।”
সহিংসতার রাজনীতি ছেড়ে সহনশীল ও গঠনমূলক রাজনীতির পথে আসতে খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান তিনি আহ্বান জানান।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে সুরঞ্জিত বলেন, “সজীব ওয়াজেদ জয় দেড় কোটি টাকা বেতন পায় বলে দাবি করেছেন, এটা যদি তিনি প্রমাণ না করতে পারেন। তাহলে তিনি জাতীয় মিথ্যুক হিসেবে পরিচিত হবেন।”
অভিশাপ দিয়ে বক্তব্য দেওয়ায় বিএনপি প্রধানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আল্লাহর গজব পড়বে বলেছেন, কেন? দেশে গণতন্ত্র নাই? আমি তো তোষামোদ করি না, সব সময় বলি।
“আমাকে তো কোনোদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন নাই, এগুলো বলেন কেন? এই যে সহ্য করার মতো মানসিকতা এটাই তো গণতন্ত্র।”
তিনি বলেন, “আমরা তো বুঝি, হতাশা কতো বেশি হলে এরকম একজন রাজনীতিবিদ আবোল-তাবোল বলতে থাকেন। আমরা বলি, উনার (শেখ হাসিনা) উপর যেন আল্লাহর গজব না পড়ে। উনি যেন মানুষের সেবা করে যেতে পারেন।
“আপনাকে (খালেদা জিয়া) যারা হেদায়েত করে গেল। ইইউ বলে গেল, সহিংসতা পরিহার করে গঠনমূলক রাজনীতিতে আসেন। কি লাভ হল? আপনার বক্তব্যে প্রমাণ হয়, আপনি এখনও নৈরাজ্য ও সহিংসতার নেত্রী।”
৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন না তুলে আগামী নির্বাচনের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে সকলকে রাজনৈতিক শিষ্টাচার, সহনশীলতা ও মার্জিত আচরণ করার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের এই জ্যেষ্ঠ নেতা।
আওয়ামী তরুণ লীগের সভাপতি মোসলেহ উদ্দিন মুশুর সভাপতিত্বে বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া।