আওয়ামী লীগ চেনে শুধু নিজেদের: ফখরুল

আওয়ামী লীগ ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Dec 2014, 06:47 PM
Updated : 14 Dec 2014, 06:47 PM

“আওয়ামী লীগের চরিত্রটা হচ্ছে, তারা নিজেকে ছাড়া কিছুই চিনে না। সে কারণে তারা সব সময় ভিন্নমতের মানুষজনকে ভিন্নভাবে চিত্রিত করতে চায়।”

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণকারী মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে আচরণের দিকে ইঙ্গিত করে একথা বলেন বিএনপির ‍মুখপাত্র।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আওয়ামী লীগ ‘ষড়যন্ত্র’ করেছিল দাবি করে ফখরুল বলেন, “যারা রণাঙ্গনে মুক্তিযুদ্ধ করেছিল, যারা ভিন্নমত পোষণ করে, তাদের নির্মূলে আওয়ামী লীগ মুক্তিবাহিনীর বাইরে আলাদাভাবে মুজিব বাহিনী গঠন করেছিল।”

সেই ধারা এখনও চলছে দাবি করে তিনি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের সত্য কথা বইতে লেখার পর আওয়ামী লীগ মুক্তিবাহিনীর উপঅধিনায়ক এ কে খন্দকারকে রাজকার বলতেও দ্বিধা করেনি। স্বাধীনতার ঘোষক সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানকে শুনতে হয়েছে, চর ও রাজকারের মতো কথা। প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদকেও তারা নানারকম কটাক্ষ করে কথা বলেছে।”

একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনী যেভাবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে চেয়েছিল, এখন সেই প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ভিন্ন মতাবলম্বীদের নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে বলে দাবি করেন ফখরুল।

এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার’ আন্দোলনে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ফুল দেওয়ার পর বিকালে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা করে বিএনপি।

দলীয় নেতা এম কে আনোয়ার, আবদুল মঈন খান, জয়নুল আবদিন ফারুক ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শওকত মাহমুদ বক্তব্য রাখেন।

এম কে আনোয়ার বলেন, “আজ যারা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের দাবিদার, আওয়ামী লীগের নেতারা রণাঙ্গনের কোন ফ্রন্টে যুদ্ধ করেছে, দেশের মানুষ জানে না। ওই সময়ে তাদের কেউ কেউ পাকিস্তানি সৈন্যদের হাতে আত্মসমর্পণ করেন, অনেকে ভারতে চলে যান।”

“১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানিরা আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে মেধাশূন্য করতে চেয়েছিল। আজ বর্তমান সরকার প্রশ্নপত্র ফাঁস, পরীক্ষার ফলাফল ৮০-৯০% পাস দেখিয়ে জাতিকে মেধাশূন্য করে দিচ্ছে,” বলেন তিনি।