খালেদাকে ‘মাইনাসের ষড়যন্ত্র’ হচ্ছে: ফখরুল

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাকে তাকে রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করতে সরকারের ‘ষড়যন্ত্রের’ অংশ বলে দাবি করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Nov 2014, 03:05 PM
Updated : 27 Nov 2014, 03:57 PM

বৃহস্পতিবার এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “পৃথিবীর নিকৃষ্টতম স্বৈরাচার সরকার থাকলে তা হচ্ছে শেখ হাসিনার সরকার।

“তারা বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। উদ্দেশ্য একটাই- তাকে (খালেদা জিয়া) সাজা দিয়ে এক-এগারোর মতো মাইনাস করা।”

১৯৯০-এর এরশাদবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ডা. শামসুল আলম মিলনের মৃত্যুবার্ষিকীতে তৎকালীন ‘সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য নেতৃবৃন্দ‘ আয়োজিত আলোচনা সভায় এই ‘ষড়যন্ত্রের’ কথা বলেন বিএনপির ‍মুখপাত্র। 

২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর সেনা নিয়ন্ত্রিত সরকার আমলে দুই প্রধান নেত্রীকে গ্রেপ্তার এবং দলে তাদের কোনঠাসা করার চেষ্টা হয়েছিল, যা ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’ নামে পরিচিতি পায়।

ফখরুল সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন, “এভাবে ষড়যন্ত্র করে কিংবা নেত্রীকে আটকিয়ে রেথে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যাবে না। এতে আন্দোলন আরও জোরদার ও উজ্জীবিত হবে।”

জিয়া অরফারেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যে নেত্রী তিন তিন বার দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, যিনি জীবনে কখনও কোনো আসনে পরাজিত হননি, তাকে হেয় করতে মিথ্যা মামলা দিয়ে অস্থায়ী আদালতে বিচার করার কাজ শুরু করেছে সরকার।

“জোর করে ওই দুটি মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতে এই বিচারের বিরুদ্ধে আর্জি নিয়ে গিয়েছিলাম। দুঃখ হয়, আমরা উচ্চ আদালতের রায়ে ক্ষুব্ধ হয়েছি, তবে হতাশ হইনি।”

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার জোর করে ক্ষমতায় রয়েছে দাবি করে জনপ্রিয়তা প্রমাণে তাদের নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের আসার আহ্বান জানান ফখরুল।

“সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ১০টি আসনও পাবে না, তাদের জামানতই বাজেয়াপ্ত হবে। পেলে আমি ব্যক্তিগতভাবে রাজনীতি আর করব না।”

’৯০ এর ছাত্রনেতাদের এই সমাবেশে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের’ আন্দোলনে ছাত্রসমাজকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি নেতা।

সমাবেশে ওই সময়কার ছাত্রনেতাদের মধ্যে ছিলেন আমান উল্লাহ আমান, শামসুজ্জামান দুদু, আসাদুজ্জামান রিপন, হাবিবুর রহমান হাবিব, মুস্তাফিজুর রহমান বাবুল, ফজলুল হক মিলন, খায়রুল কবীর খোকন,  নাজিম উদ্দিন আলম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খন্দকার লুৎফর রহমান, আসাদুর রহমান খান, সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি প্রমুখ।