তিনি বলেছেন, “এখন সারাদেশে গুম-খুনের আতঙ্ক বিরাজ করছে, কেউ আজ নিরাপদ নয়। মা-বাবা-স্বামী-স্ত্রী সব সময় আতঙ্কের মধ্যে দিনাতিপাত করছে, তাদের স্বজনরা নিরাপদে বাসায় ফিরে আসবে কি না। মানুষ এই সরকারের নিপীড়ন-নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে চায়।
“এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে পরিবর্তন আনতে হবে। সকলকে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা অবশ্যই পরিবর্তন আনব, দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করব।”
নিজের গুলশানের কার্যালয়ে বুধবার রাতে ছেলে তারেক রহমানকে নিয়ে লেখা একটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে একথা বলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেককে নিয়ে ‘অকুতোভয় দেশনায়ক’ শিরোনামের এই বই সম্পাদনা করেছেন বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম। খালেদা জিয়া এই গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।
সরকার হটানোর আন্দোলন বেগবান করতে তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপিকে সংগঠিত করতে নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
“ইউনিয়ন-থানাসহ সব পর্যায়ে সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে হবে। কে বড় কে ছোট, তা বিবেচনা করলে চলবে না। সংগঠন শক্তিশালী ও জোরদার করতে সকলকে মিলে-মিশে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হবে।”
কর্মক্ষমদের নেতৃত্ব আনার পরামর্শও দেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
বগুড়াকে জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানের জেলা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “উত্তরাঞ্চলে সব জায়গায় আমাদের সংগঠনের অবস্থা ভালো। এর মধ্যে বগুড়া এক নম্বরে থাকে, সেভাবে দলকে সংগঠিত করুন।”
নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়ার আগে বিভিন্ন জেলা সফর করছেন খালেদা। কয়েকটি স্থানে সমাবেশের পর আগামী ২৯ নভেম্বর কুমিল্লায় জনসভা করবেন তিনি।
“এসব জনসভায় ব্যাপক জনগণের সম্পৃক্ততা আপনারা দেখেছেন। জনগণের অংশগ্রহণ দেখে বোঝা যায়, তারা এই সরকারের হাত থেকে রক্ষা পেতে চায়।”
অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্য রাখেন। উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলার সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন চাঁন, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর শাহে আলম, গ্রন্থের প্রকাশক মেহেদি হাসান হিমু প্রমুখ।