বুধবার বিকালে গাজীপুরের কাশিমপুরস্থ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয় বলে সুপার জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির জানান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ২৩ নভেম্বর ফজলুর রহমান উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। বুধবার সকালে এ সংক্রান্ত কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছালে যাচাই-বাছাই শেষে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের নেতা ফজলুর কয়েক বছর আগে বিএনপিতে যোগ দেন।
চলতি বছরের ১৯ মার্চ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ও উস্কানিমূলক বক্তব্যের অভিযোগ এনে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার পশ্চিম কুমারহাটি গ্রামের মো. আলী হোসেন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
অভিযোগ তদন্ত শেষে গত ১৮ অগাস্ট একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন ইটনা থানার এসআই আব্দুছ ছালাম মিয়া ।
জিডিতে বর্ণিত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ১২৪-ক ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয় ফজলুরের বিরুদ্ধে।
জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফজলুল বারী ওই দিন প্রতিবেদনটি আমলে নেন। গত ৩ নভেম্বর মামলাটি বিচারের জন্য অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠানোর আদেশ দেন।
পরে গত ১৯ নভেম্বর কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. শহীদুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।