বাংলাদেশে মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটেছে-এটা প্রমাণ করে বিদেশিদের কাছ থেকে সুবিধা আদায়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এটা করেছে বলে অভিযোগ তার।
হজ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য মন্ত্রিত্ব ও আওয়ামী লীগের সদস্য পদ হারানো লতিফ সিদ্দিকী দেশে ফিরেছেন কি না তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।
মঙ্গলবার দুপুরে ফখরুল যখন সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ধানমণ্ডি থানায় আত্মসমর্পণ করেন লতিফ সিদ্দিকী, যার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে দুই ডজনের মতো মামলা রয়েছে। এরপর আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠান বিচারক।
লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে দলের অবস্থান জানাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, “লতিফ সিদ্দিকীর দেশে ফেরার ছবি কোনো সাংবাদিক তুলতে পারেনি। তিনি আদৌও দেশে ফিরেছেন কি না তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন আছে।
লতিফকে নিয়ে সরকার রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে সরকার নতুন করে পুরনো ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে শুরু করেছে। তার দেশে ফেরার ঘটনাটি রহস্যে ঘেরা। তার দেশে ফেরা নিয়ে তারা (সরকার) নতুন নাটক তৈরি করে রাজনৈতিক ফয়দা হাসিলের চেষ্টা করছে।
“উদ্দেশ্য একটাই- ধর্মপ্রাণ মানুষকে উস্কে দিয়ে দেশে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করা যাতে বাংলাদেশে মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের উত্থান হচ্ছে, এটি প্রমাণ করা যায়।”
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিসওয়ালের ঢাকা সফরের দিকে ইঙ্গিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করছি- কোনো বিদেশি যখনই বাংলাদেশে আসেন তার আগ মুহূর্তে দেশে এমন এক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয় যাতে মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটছে বলে প্রমাণ করা যায়।
“এই জঙ্গিবাদ কেবল এই সরকারই দমন করতে পারবে বলে বিদেশিদের বোঝাতে চায়। সেজন্য এটা সাজানো নাটক কি না এ নিয়ে এখন জনমনে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।”
আগামী বুধবার নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে শুরু হতে যাওয়া দুই দিনের সার্ক শীর্ষ সম্মেলন শেষে ঢাকা আসার কথা রয়েছে নিশা দেশাই বিসওয়ালের।
তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সময় বেঁধে দিয়ে হরতালের হুমকি দিয়ে হেফাজতে ইসলাম ও ইসলামী ঐক্যজোট। বিএনপির পক্ষ থেকেও সাবেক এই মন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।
তবে হেফাজতে ইসলামসহ ইসলামী দলগুলোর হরতালের হুমকিতে বিএনপির সায় নেই জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেছেন, “আমরা এ ব্যাপারে কাউকে কোনো সমর্থন জানাইনি। কোনো বক্তব্যও দেইনি।”
সংবাদ ব্রিফিংয়ে দলের যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ ও সহদপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি উপস্থিত ছিলেন।