সোমবার সকালে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর দেশে ফেরার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, “এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে, আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর পেছনে সরকারের একটা বড় রকমের সমর্থন রয়েছে। তা না হলে কীভাবে তিনি বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন। তাকে কেনো গ্রেপ্তার করা হয় না।”
রোববার রাতে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানে লতিফ সিদ্দিকী দেশে ফেরেন। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে তিনি একটা সাদা প্রাইভেটকারে করে চলে যান।
হজ নিয়ে মন্তব্যের জন্য ধর্ম অবমাননার অভিযোগে লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন আদালতে কয়েক ডজন মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে ওই অনুষ্ঠানে লতিফ সিদ্দিকী বলেছিলেন, “আমি কিন্তু হজ আর তাবলিগ জামাতের ঘোরতর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীর যতটা বিরোধী, তার চেয়ে বেশি হজ আর তাবলিগের বিরোধী। ”
এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক মানুষ হজে যাওয়ায় দেশের অর্থ আর শ্রম শক্তির ‘অপচয়’ হয়। তার এই বক্তব্য প্রচার হলে তা নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
বিভিন্ন ইসলামী দল লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়ার দাবি তোলে। তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানায় বিএনপি। বিভিন্ন স্থানে এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলাও হতে থাকে।
টাঙ্গাইলে প্রভাবশালী সিদ্দিকীদের জ্যেষ্ঠ ভাই ৭৭ বছর বয়সী লতিফ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতি) আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য হয়েছেন।
গত মহাজোট সরকারের পাট ও বস্ত্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন লতিফ সিদ্দিকী। শেখ হাসিনা টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর চলতি বছরের শুরুতে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান তিনি।