রোববার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের জনক। জেএমবির জন্ম তাদের আমলে। তারাই এখন জঙ্গিবাদের কথা বলে বিএনপির বিরুদ্ধে নতুনভাবে চক্রান্ত শুরু করেছে । উদ্দেশ্য বিএনপিকে আন্তর্জাতিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করা ও দলের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করা।”
বিএনপি জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে না বলেও দাবি করেন তিনি।
জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী যুব দলের উদ্যোগে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।
“কেবল তাই নয়, ২১ আগস্ট যে গ্রেনেড হামলা হয়েছে, গত কয়েকদিন আগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পত্রিকায় দেখলাম, সে জবানবন্দিতে বলেছেন, ওই ঘটনার সঙ্গে উলামা লীগের সভাপতি কাঁচপুরি জড়িত। মুফতি হান্নান কোথাকার মানুষ। সে গোপালগঞ্জের।”
ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনকে সন্ত্রাসের জন্য অভিযুক্ত করে তিনি বলেন, “ছাত্রলীগ সারাদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। নিজেদের কোন্দলে ৫০ জন নিহত হয়েছে। সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা সবার জানা। কাদের হাতে অস্ত্র? কারা একে অপরকে হত্যা করছে। এভাবে সন্ত্রাস করে তারাই আবার অন্যের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।”
আওয়ামী লীগ বেশি দিন ক্ষমতায় থাকলে দেশের অস্তিত্ব বিলিন হয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন ফখরুল।
সরকারকে নির্বাচন দিয়ে জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মুখপাত্র বলেন, “আমরা সন্ত্রাসে বিশ্বাস করি না। বিএনপি নির্বাচনে বিশ্বাসী। সেজন্য আমরা বার বার আলোচনা কথা বলছি। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা ক্ষমতার পরির্বতন চাই। সরকারকে বলব, আসুন একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে দেখুন জনগণ কাদের পক্ষে।”
সোনা চোরাচালানের সঙ্গে বাংলাদেশ বিমানের ঊর্ধবতন কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে, বিমানের চেয়ারম্যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর একজন প্রিয় পাত্র। তার এক পালিত পুত্র সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার নাম এসে গেছে।”
সংগঠনের সভাপতি সদ্য কারামুক্ত সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল হাই শিকদার, যুব দলের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নিরব, কেন্দ্রীয় নেতা মামুন হাসান, মীর নেওয়াজ, আকম মোজাম্মেল, এসএম জাহাঙ্গীর, রফিকুল ইসলাম মজনু, সদ্য কারামুক্ত জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।