‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সন্ত্রাস-দুর্নীতি হবে না’

বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বক্তব্যের দিকে ইঙ্গিত করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেছেন, ভবিষ্যতে বিএনপি সরকার গঠন করলে আর দুর্নীতি, লুটপাট ও সন্ত্রাস থাকবে না।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Nov 2014, 09:35 AM
Updated : 22 Nov 2014, 09:49 AM

আগের দিন এক অনুষ্ঠানে বক্তব্যে ‘বিএনপি সরকার গঠন করতে পারলে দেশে সন্ত্রাস ও দুর্নীতি হবে না’- মর্মে খালেদা জিয়াকে কোরান শরীফ হাতে নিয়ে শপথ করার আহ্বান জানান বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।

শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় বি চৌধুরীর বক্তব্যের দিকে ইঙ্গিত করে রফিকুল ইসলাম বলেন, “আমরা জোরের সঙ্গে বলতে চাই- ভবিষ্যতে এমন সরকার গঠন করা হবে, যেখানে দুর্নীতি-সন্ত্রাস, গুম-খুন ও অপশাসন থাকবে না। সেই সরকার হবে, আইন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার একটি সরকার।”

বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, লুটপাট ও সন্ত্রাসের অভিযোগ এনে সরকার পতনে জোরলো আন্দোলন গড়ে তুলতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।

তিনি বলেন, “এই সরকার দেশকে চরম সংকটের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। দেশে আজ গণতন্ত্র নেই। নেই কোনো সুশাসন। পূঁজিবাজার, ব্যাংকিংসহ সব কিছু তারা লুটপাট করে হাজার হাজার কোটি টাকা দেশের বাইরে পাঁচার করেছে।”

শুক্রবার বিকালে বিকল্প যুবধারার দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, “জিয়া সব মন্ত্রীদের লেফট-রাইট করিয়ে বর্তমানে যেখানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সেখানে নিয়ে এসেছিলেন। সেখানে নিয়ে এসে মন্ত্রিসভার প্রত্যেকটি সদস্যকে কোরানের উপর হাত রেখে শপথ করিয়ে ছিলেন যে,‘আমি কখনো দুর্নীতি করব না, সন্ত্রাস করব না’। এরপর কার সাহস থাকে দুর্নীতি করার?

ফাইল ছবি

“আমি একই দাবি আবার উত্থাপন করব- পাবলিক মিটিংয়ে যেন খালেদা জিয়া এই আশ্বাস দেন যে, আমার সংসদ সদস্যরা পবিত্র কোরানে হাত নিয়ে, অন্যদের নিজ নিজ ধর্মগ্রন্থ হাতে নিয়ে শপথ করতে হবে, তারা সন্ত্রাস-দুর্নীতি-লুটপাট করবে না।”

বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫০তম জন্মদিন পালন উপলক্ষে সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল।

বক্তব্যে রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের বক্তব্যে সরকারের চেহারা আজ উন্মোচিত হয়ে গেছে।

“ছাত্রলীগকে ব্যবহার করে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে কীভাবে নির্বাচন করে ক্ষমতা দখল করেছে এইচ টি ইমামের বক্তব্যে সব কিছু ফাঁস হয়ে গেছে। সেই ছাত্রলীগ আজ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাস করেছে। ঢাকাসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তারা দখল করে রেখেছে।”

তারেক রহমানের প্রশংসা করে ব্যারিস্টার রফিকুল বলেন, “তার মধ্যে রাষ্ট্রনায়কের যোগ্যতা রয়েছে, তার রাজনীতির ভিশন রয়েছে। ১/১১ তে তারেক রহমানকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। জনগণের দোয়ায় তিনি বেঁচে গেছেন। এখন লন্ডনে চিকিৎসাধীন আছে। সেখানে লেখাপড়া করছেন।”

তারেক রহমান ‘সুস্থ’ হয়ে দেশে ফিরে রাজনীতিতে যোগ দেবেন বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।

স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মুনির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবু, কেন্দ্রীয় নেতা আলী রেজাউর রহমান রিপন, ইয়াসীন আলী, লিটন মাহমুদ, সাহাবুদ্দিন মুন্না, রফিক হাওলাদার, মশিউর রহমান, ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন।