শাবিতে গিয়ে একবার রাবিশ বলে আসুন: সুরঞ্জিত

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় সিলেট অঞ্চলের দুই সাংসদ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলামকে নিয়ে তীর্যক মন্তব্য করলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Nov 2014, 10:40 AM
Updated : 21 Nov 2014, 01:22 PM

শুক্রবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এই সদস্য বলেন, ‘গুটিকয় কর্মীর’ কারণে ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে ‘ম্লান’ হতে দেওয়া চলে না।

“অর্থমন্ত্রী ওই এলাকার সংসদ সদস্য। উনাকে বলব- আর কিছু পারেন আর না পারেন, অত্যন্ত সেখানে (শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়) গিয়ে একবার রাবিশ-খবিশ বলে আসেন।”

সিলেট-১ আসনের সাংসদ অর্থমন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে সমালোচনাকারীদের ‘রাবিশ’ বলে সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন। আর সাংবাদিকদের খবিশ বলে সমালোচিত হয়েছেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সাংসদ সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী।

সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত নিজেও বৃহত্তর সিলেটের সাংসদ; তার আসন সুনামগঞ্জ-২।

তিনি বলেন, ২০১২ সালে ছাত্রলীগ যখন সিলেটের এমসি কলেজের হোস্টেল পুড়িয়ে দিল, তখন শিক্ষামন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী দুজনই গিয়েছিলেন। তখন শিক্ষামন্ত্রী সেখানে গিয়ে কেঁদেছিলেন।

“আমি এবারও শিক্ষামন্ত্রীকে বলব, আর কিছু পারেন আর না পারেন, অন্তত একবার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে কাঁদেন।”

আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ বৃহস্পতিবার সংঘর্ষে জড়ালে বহিরাগত এক ছাত্রলীগ কর্মী গুলিতে নিহত হন। সংঘর্ষের সময় দুই পক্ষের হাতেই বিভিন্ন অস্ত্র দেখা যায়।

ছাত্রলীগ সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান অবশ্য দাবি করেছেন, বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে গিয়ে ওই সংঘর্ষ ঘটিয়েছে, যার দায় তার সংগঠন নেবে না।

৬৬ বছরের ঐতিহ্যবাহী এ সংগঠন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সুরঞ্জিত বলেন, “ছাত্রলীগকে রক্ষা করতে হবে। গুটিকয়েক কর্মী ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে ম্লান করে দিচ্ছে। সময় চলে যাচ্ছে, এখনই বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া ছাত্রলীগকে আবার নীতি ও আদর্শের পথে নিয়ে আসতে হবে।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘কষ্ট করে’ যা কিছু অর্জন করছেন, তা ‘কয়েকজনের কারণে’ ম্লান হয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

সোনা চোরাচালানে জড়িত বিমান কর্মকর্তাদের সনাক্ত করতে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি করার দাবি জানান সুরঞ্জিত।

বিমানমন্ত্রী ও বিমান চেয়ারম্যানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আশা করি বিমানমন্ত্রী ও বিমানের চেয়ারম্যান অন্তত বলবেন এ বিষয়ে তারা কী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছেন।”

আইন মন্ত্রণালয়কেও এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান জানান সংসদীয় কমিটির এ সভাপতি।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে বঙ্গবন্ধু একাডেমী আয়োজিত এ আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ সেলিম।