পুলিশ জানায়, বুধবার বিকালে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. শহীদুল ইসলাম এ আদেশ দেন। সন্ধ্যায় তাকে কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মীর ইকবাল হোসাইন বিপ্লব জানান, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ও উস্কানিমূলক বক্তব্যের অভিযোগে করা একটি মামলায় সকালে ফজলুর রহমানের জামিন আবেদন করা হয়।
বিচারক মো. শহীদুল ইসলাম এ আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
চলতি বছরের ১৯ মার্চ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ও উস্কানিমূলক বক্তব্যের অভিযোগ এনে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার পশ্চিম কুমারহাটি গ্রামের মো. আলী হোসেন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের নেতা ফজলুর কয়েক বছর আগে বিএনপিতে যোগ দেন।
তার বিরুদ্ধে জিডির পরিপ্রেক্ষিতে ইটনা থানার এসআই আব্দুছ ছালাম মিয়া তদন্ত শেষে গত ১৮ অগাস্ট একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।
জিডিতে বর্ণিত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণ হওয়ায় বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ১২৪-ক ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ সংঘটিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফজলুল বারী ওই দিন প্রতিবেদনটি আমলে নেন। গত ৩ নভেম্বর মামলাটি বিচারের জন্য অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠানোর আদেশ দেন।