মন্ত্রীদের না পেয়ে ক্ষোভ এমপিদের

জাতীয় সংসদের অধিবেশনে মন্ত্রীদের অনুপস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন সংসদ সদস্যরা।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Nov 2014, 06:59 PM
Updated : 18 Nov 2014, 06:59 PM

মঙ্গলবার মাগরিবের নামাজের বিরতির পর জরুরি জনগুরুত্বসম্পন্ন বিষয়ে মনোযোগ আকর্ষণ (বিধি-৭১) নোটিসের ওপর আলোচনা এবং বিল পাসের প্রক্রিয়ার সময় কয়েকজন এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে তার নোটিস উত্থাপনের সময় মন্ত্রীদের অনুপস্থিতির বিষয়টি অধিবেশন পরিচালনাকারী ডেপুটি স্পিকারে ফজলে রাব্বী মিয়ার নজরে আনেন।

“আমরা যদি জঙ্গিবাদ দমন করতে পারি তাহলে খাদ্যে ভেজাল কেন বন্ধ করতে পারব না? এ বিষয়ে স্পিকারের নেতৃত্বে বিশেষ কমিটি গঠন করা উচিত। সরকারের জন্য বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। অথচ এখানে শিল্পমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র ও স্বাস্থমন্ত্রীসহ আরো অনেকে নেই।”

এরপর জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামও নোটিস উত্থাপনের সময় মন্ত্রীদের অনুপস্থিতির বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, “এখানে ফুল মন্ত্রী নেই। আমার বন্ধুবর হাফ মিনিস্টার আছেন। আমি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”

স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই নোটিস উত্থাপনের সময় প্রতিমন্ত্রী সংসদে উপস্থিত ছিলেন।

এরপর ‘উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা বিল-২০১৪’ জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব ওঠানোর সময় হাজি সেলিম বলেন, “মন্ত্রীরা উপস্থিত নেই, আছেন শুধু একজন মন্ত্রী যিনি আবার নতুন বিবাহিত। উপস্থিত থাকার জন্য নব বিবাহিত মন্ত্রীকে ধন্যবাদ।”

এসময় ডেপুটি স্পিকার বলেন, “মাননীয় সদস্য আপনি সংসদীয় ভাষায় কথা বলুন। অসংসদীয় ভাষায় আপনি সংসদে কথা বলতে পারেন না। আপনি বিলের ওপর কথা বলুন।”

হাজি সেলিম তখন বলেন, “ভালো কথা বলছিলাম। মন্ত্রীরা থাকেন না। আমরা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলি। আছেন শুধু নতুন বিবাহিত মন্ত্রী।”

ডেপুটি স্পিকার এসময় বলেন, “আপনি একজন মন্ত্রীকে নতুন বিবাহিত বলেছেন। আপনার এই কথা সংসদের কার্যবিবরণী থেকে এক্সপাঞ্জ করা হবে।”

মন্ত্রীদের অনুপস্থিতি নিয়ে যখন সংসদ সদস্যরা কথা বলছিলেন, তখন অধিবেশন কক্ষে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক ছাড়া ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।