আন্দোলন ছাড়া আর পথ রাখেনি সরকার: ফখরুল

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার প্রতিবাদের সব পথ আটকে দিয়েছে অভিযোগ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এখন আন্দোলন ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। 

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Nov 2014, 06:33 PM
Updated : 18 Nov 2014, 06:33 PM

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি সরকারকে হুঁশিয়ারি করে আরো বলেছেন, মামলা দিয়ে গণতন্ত্র ‘ফিরিয়ে’ আনার আন্দোলন স্তব্ধ করা যাবে না।

ফখরুল বলেন, “দেশ আজ এক কঠিন সময় অতিক্রান্ত করছে। সরকার গোটা দেশ, গণতন্ত্র , অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করে দলীয় শাসনে রূপান্তরিত করেছে। এই অবস্থায় আন্দোলন ছাড়া আমাদের কোনো গত্যন্তর নেই।”

দমন-পীড়ন উপেক্ষা করে সরকার হটানোর আন্দোলনের জন্য সবাইকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।

তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম ও উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরামের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় খালেদা জিয়ার ছেলের বিরুদ্ধে মামলার সমালোচনাও করেন বিএনপির মুখপাত্র।

“এদেশের ১৬ কোটি মানুষের রাজনীতি ধারণ করে বলেই আওয়ামী লীগ তারেক রহমানকে এত ভয় পায়। তারা তার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়েছে, সমন জারি করছে।”

“আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, মামলা দিয়ে কিংবা নেতা-কর্মীদের কারাগারের পাঠিয়ে চলমান আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যাবে না।”

আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়ে তারেক রহমানকে ফেরাতে নেতা-কর্মীদের সক্রিয় হতে বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের সাম্প্রতিক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ফখরুল বলেন, “ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের সব জারিজুরি তিনি ফাঁস করে দিয়েছেন। কিভাবে দলীয় বশংবদ নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে ভোট কেন্দ্রে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে সরকার ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছে, তিনি (এইচটি ইমাম) তা প্রকাশ করে দিয়েছেন।

“গত নির্বাচনে এই এইচ টি ইমাম নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন। গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে তিনি তার পূর্বের বক্তব্য নাকচ করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু দেশের মানুষের কাছে তা গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।”

আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর প্রসঙ্গ টেনে ফখরুল বলেন, “এইচটি ইমামের মতো আবদুল লতিফ সিদ্দিকীও সরকারের দুটি জিনিস ফাঁস করে দিয়েছেন। একটি হচ্ছে- আওয়ামী লীগ যে ধর্মে বিশ্বাস করে না, তা লতিফ সিদ্দিকীর কথায় প্রকাশ পেয়েছে।

“আরেকটি হচ্ছে- প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় প্রতিমাসে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা বেতন নিয়েছেন। এই তথ্য মন্ত্রী ফাঁস করে দিয়েছেন। লতিফ সিদ্দিকীর চাকরিও চলে গেছে।”

ছাত্রদের এই অনুষ্ঠানে গণস্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছাত্রদলের নেতৃত্বে বয়ষ্কদের আনার সমালোচনা করে বলেন, “ছাত্রদলে ৫০ বছরের ছেলেরা নেতা হতে চান। কেন এটা হবে? ৫০ বছরের নেতাদের বলব, আপনারা ছাত্রদল ছাড়ুন। বিএনপি ও যুবদলে আপনারা যান।”

আন্দালিব রহমান পার্থের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কলামনিস্ট মাহফুজউল্লাহ, বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, শওকত মাহমুদ, আজম খান, রুহুল কবির রিজভী, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, হাবিব উন নবী খান সোহেল, হাবিবুর রহমান হাবিব, ফুটবলার আমিনুল হক প্রমুখ।