সেই ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য’ থেকেই সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জের মেয়র জি এম গউসকে জড়িয়ে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
শুক্রবার বিএনপি কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফখরুল বলেন, “গতকাল দলের স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সভা মনে করে, সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এটি করেছে।”
একইভাবে যশোরের পৌর মেয়র মারুফুল ইসলাম, মনিরামপুরের পৌর মেয়র ইকবাল, বাঘাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মিশয়ার রহমান, কেশবপুর পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুস সামাদ বিশ্বাস ও পৌর মেয়র মনার বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’ দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
“এভাবে তারা (সরকার) সরকারবিরোধীদের নেতৃত্বশূন্য করতে চায়।’’
নয় বছর আগের কিবরিয়া হত্যার ঘটনায় নতুন ১১ জনের নাম যোগ করে বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জের আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। এতে খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জের পৌর মেয়র গোলাম কিবরিয়া গউসের নামও রয়েছে।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে ঈদ পরবর্তী এক জনসভা শেষে বের হওয়ার পথে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন আওয়ামী লীগ নেতা কিবরিয়া।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা মনে করি, সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে এবং বিরোধীদের গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমানোর হীন চক্রান্তের অংশ হিসাবে এসব মিথ্যা মামলা দিচ্ছে।”
এর পরিণতি শুভ হবে না বলেও সরকারকে হুঁশিয়ার করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।