একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মুক্তিযুদ্ধকালীন আল-বদর বাহিনীর প্রধান নিজামীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার দুপুরে রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আইনমন্ত্রী বলেন, “আদালত যে রায় দিয়েছে তাতে আমি ব্যক্তিগতভাবে সন্তুষ্ট। সরকারও এ রায়ে সন্তুষ্ট। রায় আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং তড়িৎ কার্যকর করতে পদক্ষেপ নেবে সরকার।
“এখন আমরা যে চেষ্টা করবো তা হলো- আপিলের তাড়াতাড়ি শুনানি করে ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রেখে তা কার্যকর করা।”
সরকার তথ্য-প্রমাণ দিয়ে প্রসিকিউশনকে সহযোগিতা করবে বলেও জানান তিনি।
নিজামীর বিরুদ্ধে একাত্তরে হত্যা, লুট, ধর্ষণ, উসকানি ও সহায়তা, পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র এবং বুদ্ধিজীবী হত্যার ১৬টি অভিযোগের মধ্যে আটটি প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে চারটিতে তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং অন্য চারটিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
এ রায়ের মধ্য দিয়ে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে প্রসিকিউশন।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেছেন, ট্রাইব্যুনালের রায়ে নিজামী ন্যায়বিচার পাননি। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন তারা।