গোলাম আযমের শোক মিছিলে গয়েশ্বর

যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের কফিন নিয়ে শোক মিছিলে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ও অংশ নিয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Oct 2014, 11:03 AM
Updated : 25 Oct 2014, 07:05 PM

একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে কারাভোগের মধ্যে বৃহস্পতিবার মারা যান গোলাম আযম। শনিবার বায়তুল মোকাররম মসজিদে জানাজার পর তাকে ঢাকার মগবাজারে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

একাত্তরে গণহত্যা, ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের পরিকল্পনাকারী গোলাম আযম জামায়াতের আমির ছিলেন, এই দলটি বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক।

যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিত গোলাম আযমের মৃত্যুর পর বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। দলের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েও কোনও জবাব পাননি সাংবাদিকরা।

শনিবার দুপুরে বায়তুল মোকাররম মসজিদে গোলাম আযমের জানাজা শেষে শোক মিছিল নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা কফিন নিয়ে মগবাজারের পথে রওনা দেয়।

শান্তিনগরে এই মিছিলে যোগ দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায়। তিনি বেশ কিছু দূর পর্যন্ত মিছিলের সঙ্গে যান।

গোলাম আযমের মৃত্যুতে বিএনপির পক্ষ থেকে কোনও শোক জানানো না হলেও গয়েশ্বর নিজের পক্ষ থেকে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছিলেন।

তিনি শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, “একাত্তরে তার ভূমিকা নিয়ে ভিন্নমত থাকতে পারে। কিন্তু তিনি একজন ভাষাসৈনিক। এ জন্য তিনি সম্মান পাওয়ার যোগ্য।”

গত শতকের ’৪০ এর দশকে এক মেয়াদে ডাকসুর সাধারণ সম্পাদকও হয়েছিলেন গোলাম আযম। ওই সময় রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে জিএস হিসেবে তার একটি স্মারকলিপি দেওয়াকে ‘ভাষা আন্দোলনে ভূমিকা’ হিসেবে তুলে ধরার প্রয়াস চালায় তার দল জামায়াতে ইসলামী; যদিও পরে তিনি নিজেই তার ওই পদক্ষেপ ভুল ছিল  বলে উল্লেখ করেন।

গয়েশ্বর ছাড়া বিএনপির নীতি-নির্ধারকদের কাউকে গোলাম আযমের শোক মিছিল কিংবা জানাজায় দেখা যায়নি।

বায়তুল মোকাররম মসজিদে জানাজায় দেখা গেছে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদকে। তবে তিনি ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন। তার সঙ্গে সাংবাদিক নেতাদের মধ্যে ছিলেন রুহুল আমিন গাজী, আবদুল হাই শিকদার, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান।

বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ আব্দুল মালেক জানাজায় অংশ নেন।

ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ নেজামী, মুসলিম লীগের নেতা নুরুল হুদা, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, হামদুল্লাহ আল মেহেদি, শামসুদ্দিন পারভেজ, মাসুদ খান, বিজেপির সালাহউদ্দিন মতিন প্রকাশ, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের মাওলনা এটিএম হেমায়েতউদ্দিনও জানাজায় ছিলেন।