তিনি বলেছেন, এ কারণেই তারা ‘অসংলগ্ন’ কথা বলছেন।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে ৯০ বছর সাজা ভোগের মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গোলাম আযম।
জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনৈতিক মিত্র হলেও শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গোলাম আযমের মৃত্যু নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
শুক্রবার সকালে শিল্পকলা একাডেমিতে শেখ রাসেলের ৫০তম জন্মবার্ষিকীর এক আলোচনা সভায় খাদ্যমন্ত্রী কামরুল বলেন, “একজনের মৃত্যুতে খালেদা জিয়া ও মির্জা ফখরুলের বুকে চাপা কান্না রয়েছে; কিন্তু কাঁদতে পারছে না। পাকিস্তানে গায়েবানা জানাজা হচ্ছে, কিন্তু তারা এখানে কিছুই করতে পারছে না।”
বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্যেশ্যে কামরুল বলেন, “এমন গ্যাঁড়াকলে তারা পড়েছে যে, না পারছে কাঁদতে, না পারছে কিছু করতে। একটা মর্মান্তিক যন্ত্রণার ভিতর তারা রয়েছে। আর এ কারণেই সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল অসংলগ্ন কথা বলছেন; জনসভাতে খালেদা অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছেন।”
শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার কয়েকদির আগেই বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। স্বাধীন বাংলাদেশে তার নাগরিকত্ব বাতিল হয়। এরপর বিদেশে বসে পাকিস্তান পুনরুদ্ধার নামে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে নানা কর্মকাণ্ড চালাতে থাকেন।
সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ১৯৭৮ সালে গোলাম আযমকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। বিএনপির শাসনামলে নাগরিকত্ব ফিরে পাওয়া গোলাম আযমের জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে গত প্রায় দুই দশক ধরে রাজনৈতিক জোট করেছে বিএনপি।
কামরুল তার বক্তব্যে বিএনপির আন্দোলনের হুমকি নিয়েও কথা বলেন।
“আমরা ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সরকার পতনের আন্দোলনের কথা শুনেছি। সেই ভাঙা ক্যাসেট আবার শুনতে শুরু করেছি এবং আমরা এটা শুনতেই থাকবো। কিন্তু তারা কিছুই করতে পারবে না।”
বিএনপি নেতাদের ব্যঙ্গ করে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, “একজন কাথা-বালিশ নিয়ে অফিসে শুয়ে থাকেন। মাঝে মাঝে প্রেস ব্রিফিং করেন। কিন্তু অফিসের সামনে একটা মশাও যায় না।”
‘জঙ্গিবাদি-মৌলবাদি গোষ্ঠী আর বিএনপি-জামায়াত এক’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এখন তারা সুবোধ বালকের মতো কথা বলছে। কিন্তু এটা তাদের আসল রূপ নয়। তাদের আসল রূপ দেখা গিয়েছিল ২০১৩ সালের শেষের দিকে। আবার যিদি ওই রূপে ফেরে, কোন অবস্থাতেই তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।”