শুক্রবার বিকালে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিষয়টি এড়িয়ে যান।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান- জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের মৃত্যুতে বিএনপি শোক জানাবে কিনা।
জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, “যে বিষয়ে আমরা সংবাদ ব্রিফিং ডেকেছি, তা আলোচনা করছি। ধন্যবাদ।”
এ কথা বলেই আসন থেকে উঠে যান বিএনপির মুখপাত্র।
দলের শীর্ষ নেতাদের কেউই গোলাম আযমের মৃত্যু নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে ৯০ বছর সাজা ভোগের মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশে জামায়াতের আমির গোলাম আযম।
৯২ বছর বয়সী গোলাম আযমের আরও ৮৯ বছর কারাভোগ বাকি ছিল।
গত বছর ১৫ জুলাই যখন আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের রায়ে গোলাম আযমের সাজার আদেশ হয়, সেদিনও বিএনপি কোনও প্রতিক্রিয়া জানাতে অস্বীকার করে, যদিও ট্রাইব্যুনালের বিচার নিয়ে বিভিন্ন সময়ে তারা সরাসরিই প্রশ্ন তুলেছে।
২০১০ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরুর পর বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন মহল থেকে জামায়াতের সঙ্গ ছাড়ার জন্য আহ্বান জানানো হলেও অনড় থাকেন বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া।
বিএনপি-জামায়াতের বিরোধিতার মধ্যেই ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ।
ওই নির্বাচনের পর নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘এই মুহূর্তে’ জামায়াতের সঙ্গ ছাড়া সম্ভব নয়। তবে ‘সময় এলে’ বিষয়টি তিনি ভেবে দেখতে পারেন ।