রোববার রাতে নিউ ইয়র্ক সিটির লাগোয়ার্ডিয়া এয়ারপোর্টের কাছে কোর্টইয়ার্ড ম্যারিয়ট হোটেলের একটি মিলনায়তনে তুমুল হট্টগোল, হাতাহাতি আর ধাক্কাধাক্কিতে ভেস্তে গেছে ‘ঐক্য প্রক্রিয়ার’ এই বৈঠক।
বিভিন্ন ধারায় বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করতে গত ১৪ অক্টোবর লন্ডন থেকে আসেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান।
এরপর থেকেই নিউ ইয়র্ক বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ‘ঐক্য প্রক্রিয়া’র সভায় মঞ্চে বসা এবং বক্তৃতা দেওয়া নিয়ে চাপা উত্তেজনা চলছিল।
মাহিদুর রহমান নিউ ইয়র্কে পৌঁছানোর দিনেই ম্যারিয়ট হোটেলের পার্কিং এলাকায় বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে মারামারি হয়, যা থানা-পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়।
এক পর্যায়ে বিভিন্ন ভাগের শীর্ষ নেতারা বসে ঐক্য প্রক্রিয়ার আলোচনায় কেবল মাহিদুরই কথা বলবেন বলে একমত হন।
কিন্তু রোববারের অনুষ্ঠানের শুরুতে মাহিদুর মঞ্চে ওঠার পরপরই তার পাশে কে দাঁড়াবেন, তা নিয়ে হুড়োহুড়ি বেঁধে যায়। এক পর্যায়ে গালাগালি, মঞ্চ ভাঙচুর ও মারামারিও শুরু হয়।
মাহিদুর সবাইকে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার অনুরোধ করেন। তিনি আশ্বাস দেন যে, তারেক রহমানের সুপারিশে যে কমিটি হবে, সেখানে সবাইকে যোগ্যতা অনুযায়ী মূল্যায়ন করা হবে।
মাহিদুর বলেন, “লন্ডনেও বিএনপির সভা শুরুর আগে এ ধরনের পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল। মূল কথা হচ্ছে শেষ ভাল যার, সব ভাল তার।”
তিনি একাই ১৫ মিনিটের মতো বক্তব্য দিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
তবে এবারও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা যায়নি বলে অনেকে নেতা-কর্মীই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।