ছাত্রদলের কোন্দল মেটাতে ফখরুলের রুদ্ধদ্বার বৈঠক

ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে তিন দিন ধরে পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভ, ভাংচুর, মারামারির পর সমাধানের পথ খুঁজতে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Oct 2014, 11:00 AM
Updated : 20 Oct 2014, 12:27 PM

নয়া পল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার বেলা ৩টা থেকে ৪৫ মিনিট এই বৈঠক চলে।

বৈঠক শেষে বেরিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও মহানগর আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস শুধু বলেন, “ছাত্রদল একটি বড় সংগঠন। বড় সংগঠনে সমস্যা থকতেই পারে। তার সমাধানও হয়ে যাবে।” 

বৈঠকে সমাধানের কোনো পথ পাওয়া গেছে কি-না সে বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি বিএনপির আর কেউ।

মির্জা আব্বাস ছাড়াও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুব দলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু এ বৈঠকে অংশ নেন।

ছাত্রদলে পদ না পাওয়াদের বিক্ষোভের মধ্যে রোববার নতুন কমিটির সদস্যরা নয়া পল্টনে কার্যালয়ে গেলে মারামারি বেঁধে যায়। এ সময় জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্যও ভাংচুর করা হয়।

এরপর বিকালে মির্জা ফখরুল পদবঞ্চিত ৫ নেতাকে সঙ্গে নিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক করেন। তাদের ক্ষোভ-বিক্ষোভের কথা দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কাছে তুলে ধরার আশ্বাস দেন তিনি।

ফাইল ছবি

এরপর বিক্ষুব্ধদের অন্যতম নেতা কাজী রওনাকুল ইসলাম রিয়াজ কার্যালয়ের নিচে এসে ঘোষণা দেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলে সোমবার সিদ্ধান্ত জানানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তাদের। এ কারণে তারা ওই সময় পর্যন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত করেছেন।

গত ১৪ অক্টোবর খালেদা জিয়া অনুমোদিত নতুন কমিটিতে কাজী রিয়াজ যুগ্ম সম্পাদকের পদ পেলেও এই কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভে তিনিও শামিল রয়েছন।

এদিকে নতুন কমিটির সভাপতি রাজিব আহসান  ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা সোমবার সকালে নয়া পল্টনের কার্যালয়ে আসেন।

তাদের সমর্থক বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীকে এ সময় কার্যালয়ের সামনে দেখা গেলেও আগের দিন বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কাউকে এ সময় দেখা যায়নি।

দুপুরে নয়া পল্টনের কার্যালয়ে আসার আগে আগের দিনের মারামারিতে আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান মির্জা ফখরুল।

তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সহসভাপতি তসলিম হাসান মাসুম ও সহ সাধারণ সম্পাদক রেজাউনুল হক, সবুজ ও মো. রাসেল মিয়াকে দেখতে সকাল সাড়ে ১১টায় গুলশানের সাহাবুদ্দিন মেডিক্যালে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।

এরপর তিনি ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে যান ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মামুন, মাসুদ, সজীব, ইবরাহিম, আশা বিশ্ববিদ্যালয়ের  সারোয়ার এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিমুল, কাওসার ও উজ্জলকে দেখতে।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক কাজী মাজহারুল ইসলাম দোলন, সহ ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সাহাব উদ্দিন, ছাত্র নেতা হায়দার আলী লেলিন, জাসাস নেতা শায়রুল কবীর খান এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।