ক্ষোভ থেকে ‘রেহাই’ পেল না জিয়ার ভাস্কর্যও

সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের সদ্যগঠিত কমিটিতে ঠাঁই না পাওয়া বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের দলীয় কার্যালয়ে হামলার সময় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

রোববার বেলা ২টার দিকে ছাত্রদলের নতুন কমিটির নেতারা তালা ভেঙে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেখানে হামলা চালায় পদবঞ্চিতরা, যাতে অন্তত তিন জন আহত হয়।

কয়েকশ কর্মী লাঠিসোটা নিয়ে নয়া পল্টনে ছাত্রদল কার্যালয়ে হামলা চালানোর সময় ভেতরে নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যরাও ছিলেন।

হামলার পর দেখা গেল ভাস্কর্যঘেরা কাচের বেষ্টনী ভাঙা। ভাস্কর্যের ডান হাতের কাছে সাদা রঙ উঠে গেছে। থাই অ্যালুমুনিয়ামের তৈরি ব্যারিকেডটিও ভাংচুর করা হয়েছে, যা হামলার পর ফুটপাতে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

১৯৯৫ সালের দিকে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ভবনের প্রধান ফটকের সামনেই গ্লাস দিয়ে আচ্ছাদিত সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সাদা রঙের এই ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছিল।

দুপুরে নয়া পল্টনের কার্যালয়ে পদবঞ্চিতদের হামলার সময় বিকট শব্দে দুটি বিস্ফোরণ হয়। নতুন কমিটির সমর্থক নেতাকর্মীরা ছুটাছুটি শুরু করে। অনেকে হুড়োহুড়ি করে দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে।

এসময়ে কয়েকজন কর্মী কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে জিয়ার ভাস্কর্যকে উদ্দেশ্য করে ঢিল ছুঁড়লে গ্লাসটি ভেঙে যায়। গ্লাসের বাইরে থাই অ্যালুমুনিয়ামের বেষ্টনীও বিক্ষুব্ধরা ভেঙে ফেলে।

বিক্ষিপ্তভাবে কার্যালয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের পাশাপাশি কয়েকজনকে মারধর করতেও দেখা যায়। পরে কার্যালয় থেকে আহত তিনজনকে উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।

ছাত্রদলের পদবঞ্চিতদের হামলার সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, রুহুল কবির রিজভী ও  হাবিবুন নবী খান সোহেলসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।

নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়েই দলটির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়।

দুই বছর মেয়াদি কমিটি বিলুপ্ত করে গত ১৪ অক্টোবর রাজিব আহসানকে সভাপতি ও আকরামুল হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রদলের ২০১ সদস্যের নতুন আংশিক কমিটি অনুমোদন দেন খালেদা জিয়া।

ওই কমিটি গঠনের পরদিনই নয়া পল্টনের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে পদবঞ্চিত নেতারা।