রোববার বিকালে পদ না পাওয়া পাঁচ নেতাকে ডেকে নিয়ে ভবনের তৃতীয় তলায় নিজের চেম্বারে বৈঠকে বসেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।
বৈঠকে বসেন- গত কমিটির নেতা তরিকুল ইসলাম টিটু, মশিউর রহমান মিশু, শামসুজ্জোহা সুমন, হাবিবুর রহমান, রাকিবুল ইসলাম রয়েল।
তাদের সঙ্গে নতুন কমিটির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক গাজী রওনাকুল ইসলাম রিয়াজও ছিলেন, যিনি পদ না পাওয়াদের বিক্ষোভে প্রথম থেকে শামিল রয়েছেন।
ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রুহুল কবির রিজভী, হাবিব-উন নবী খান সোহেল ও যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালও ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন।
বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে এই বৈঠকের সময় নতুন কমিটির নেতারা ভবনের চতুর্থ তলায় অবস্থান নিয়ে ছিল। বৈঠকের পর ফখরুল তাদের ‘চুপ’ থাকার নির্দেশ দেন। সন্ধ্যা ৬টার পর নতুন কমিটির নেতাদের নিয়ে বেরিয়ে যান তিনি।
অন্যদিকে বিক্ষুব্ধদের পক্ষ থেকে গাজী রিয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, তারা তাদের ক্ষোভের কথা বিএনপি মহাসচিবকে জানিয়েছেন। তিনি বিষয়টি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কাছে তুলবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
খালেদার সঙ্গে আলোচনার পর সোমবার পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে জানিয়ে সে পর্যন্ত সব বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত থাকবে বলে জানান ছাত্রদলের ‘বিদ্রোহী’ এই নেতা।
গত ১৪ অক্টোবর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ছাত্রদলের নতুন কমিটি অনুমোদনের পর থেকে ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলছিল।
এর ধারাবাহিকতায় পদ না পাওয়া কয়েকশ’ নেতা-কর্মী শনিবার নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করতে থাকে। তারা সমাবেশ করে কমিটি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।
রোববারও তারা বিক্ষোভ শুরু করলে নতুন কমিটির নেতাদের সঙ্গে তাদের সংঘাত বাঁধে। এসময় বিএনপি ভবনের প্রধান ফটকের সামনে জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্যের কাচের প্রাচীরও ভাংচুর হয়।
শনিবার বিক্ষোভের সময় মির্জা ফখরুলও তাদের তোপের মুখে পড়েন। তিনি বিষয়টি ‘দেখবেন’ বলে তাদের শান্ত করেছিলেন তখন।