দ্বন্দ্ব নেই, সব সরকারের ষড়যন্ত্র: ছাত্রদল

পদবঞ্চিতদের সঙ্গে নতুন কমিটির কোনো বিভেদ বা দ্বন্দ্ব নেই বলে দাবি করেছেন ছাত্রদলের নতুন কমিটির সভাপতি রাজিব আহসান।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Oct 2014, 08:16 AM
Updated : 19 Oct 2014, 08:16 AM

রোববার দুপুরে নয়া পল্টনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।

রাজিব বলেন, “যারা পদবঞ্চিত তাদের সঙ্গে আমরা একসঙ্গে অনেকদিন আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। আমাদের সঙ্গে তাদের কোনো বিভেদ  কিংবা দ্বন্দ্ব কোনটিই নেই। নতুন কমিটি নির্বাচন একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে হয়েছে। অলরেডি আমাদের নেত্রী বলেছেন, যারা পদ পায়নি, তাদের বিভিন্ন জায়গায় পদায়ন করা হবে। তাই এনিয়ে মতপার্থক্যের সুযোগ নেই।”

দুই বছর মেয়াদি কমিটি বিলুপ্ত করে গত ১৪ অক্টোবর রাজিব আহসানকে সভাপতি ও আকরামুল হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে ২০১ সদস্যের নতুন আংশিক কমিটি অনুমোদন দেন খালেদা জিয়া।

এর পর থেকেই বিক্ষোভ শুরু করেন পদবঞ্চিত ও তাদের অনুসারীরা। শনিবার তারা কার্যালয়ে তালাও ঝুলিয়ে দেয়। তবে রোববার তালা ভেঙে অফিসের নিয়ন্ত্রণ নেয় নতুন কমিটি।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, “আমি মনে করি, আমরা কোনও পক্ষ নই। যারা আজ পদের জন্য বিক্ষোভ করছেন, উনাদের অনেকে আমাদের সিনিয়র। তাই তারা আমাদের প্রতিপক্ষ হবেন কেন?”

তিনি জানান, বিএনপি চেয়ারপাসরনের সঙ্গে ছাত্রদলের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সিনিয়রদের আলোচনা চলছে ।

পদবঞ্চিতরা কমিটি ভেঙে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে- এ বিষয়ে আপনাদের বক্তব্য কি?

জবাবে সাধারণ সম্পাদক আকরাম বলেন, “একটি কমিটি গঠন হওয়ার পর তা পূনর্গঠনের কোনও সুযোগ নেই। এই দাবি অযৌক্তিক। যারা পদ পাননি তাদের অন্যান্য সংগঠনে সমন্বয় করার প্রক্রিয়া চলছে। আশা করছি, তাদের সমন্বয় করা হবে।”

দলীয় অফিসে তালা দেওয়ার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সভাপতি রাজিব বলেন, “আমরা প্রতিদিনই অফিসে আসছি। নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা নিচ্ছি। গতকালের (শনিবার) ঘটনাটি ছিল ভিন্ন। অতীতেও এরকম দৃশ্য আমরা দেখেছি। দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে এটি সরকারের একটি অপকৌশল বলে আমরা মনে করি।”

এ প্রসঙ্গে ছাত্র দলের নতুন সভাপতি অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এমনিতেই দলের নেতাকর্মীদের দাঁড়াতে দেওয়া হয় না। কিন্তু অবাক বিস্ময়ে আমরা লক্ষ্য করলাম, লাঠি-সোঠা নিয়ে প্রকাশ্যে অনেকে দাঁড়িয়ে আছে। অথচ পুলিশ দেখে হাসছে। এটি প্রমাণ করে ছাত্রদলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতেই এটি একটি অপকৌশলের চক্রান্ত ছাড়া অন্য কিছুই নয়।”