লতিফ সিদ্দিকীর সর্বোচ্চ শাস্তি চান এরশাদ

হজ নিয়ে বক্তব্যের জন্য সমালোচনায় থাকা আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে মুরতাদ ঘোষণা করে তার মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছেন এরশাদ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Oct 2014, 04:08 PM
Updated : 1 Oct 2014, 06:35 PM

বুধবার রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সমাবেশে এরশাদ বলেন, “কোনও মুসলিম ইসলাম নিয়ে কটাক্ষ করলে আর মুসলিম থাকে না। সে তখন মুরতাদ। তাকে প্রতিহত করা, তার শাস্তির বিধান করা তখন ঈমানি দায়িত্ব।

“জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে আমি প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানাই, এই কুলাঙ্গারকে দল থেকে, সংসদ থেকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার করুন, গ্রেপ্তার করুন এবং সর্বোচ্চ শাস্তি দিন। পবিত্র সংসদে এই অপবিত্র ব্যক্তির বসার কোনও অধিকার নেই।”

রোববার নিউ ইয়র্কে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক অনুষ্ঠানে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী হজে যাওয়া এবং তাবলীগ জামায়াতের বিরোধিতা করে মন্তব্য করেন।

ওই বক্তব্যের পর বিএনপিসহ বিভিন্ন ইসলামী দল তার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন। ইতোমধ্যে তাকে মন্ত্রিসভা থেকে ‘অব্যাহতি’ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব-উল আলম হানিফ।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে এরশাদ বলেন, “এই দেশ মুসলিম অধ্যুষিত। আমরা সবাই কলেমা পড়া মুসলমান। লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্য কোটি কোটি মুসলমানদের মনে আঘাত করেছে। আমরা এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছি। তাকে গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তি না দেওয়া পর্যন্ত আমরা রাস্তায় থাকব।”

এরশাদ বক্তব্য শুরু করার পরপরই শুরু হয় বৃষ্টি। তবে কোনও ব্যবস্থা না থাকায় সভায় উপস্থিত নেতা কর্মীরা বৃষ্টিতে ভিজছিলেন। এ সময় এরশাদের মাথায় ছাতা ধরে ছিলেন তার পাশে বসা পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

বৃষ্টিতে ভিজতে থাকা নেতা কর্মীদের উদ্দেশে এরশাদ বলেন, “দেখ, বৃষ্টি পড়ছে। এই বৃষ্টি আল্লাহপাকের নেয়ামত। আমরাই প্রথম ঈমানি দায়িত্ব পালন করছি, তাই আল্লাহ আমাদের ওপর রহমত বর্ষণ করছেন।

“আমরা আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানাই, যারা ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলে এবং ইসলামের নামধারী যারা এখনও এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামেনি তাদের ওপর আল্লাহর লানত বর্ষিত হোক।”

প্রতিবাদ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এম এ হান্নান, প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ফয়সল চিশতী প্রমুখ।