মুন্সীগঞ্জে আ.লীগের দু'পক্ষে সংঘর্ষে ৩ পথচারী গুলিবিদ্ধ

মুন্সীগঞ্জ শহরের লঞ্চঘাটে আওয়ামী লীগের দুইপক্ষের সংঘর্ষে তিন পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।এসময় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।  

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Oct 2014, 03:43 PM
Updated : 1 Oct 2014, 03:43 PM
বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে লঞ্চঘাটের হাটলক্ষ্মীগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে সদর থানার ওসি আবুল খায়ের ফকির জানিয়েছেন।

তিনি জানান, বুকের ডান দিকে গুলিবিদ্ধ রিক্সাচালক শাহাবুদ্দিন মিয়াকে (২৪) ও শরীরের গুলিবিদ্ধ পথচারী সিফাত হোসেনকে (১০) আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল হাসাপাতাল এবং গুলিবিদ্ধ সাদেক (৫০), জখম অনিককে (১৬) ও প্রান্তকে (১৭) মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের পাঁচজনই পথচারী।

ওসি আবুল খায়ের ফকির বলেন, "বালুর ড্রেজিংয়ের চাঁদা আদায় ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই সংঘর্ষ বাধে। হাটলক্ষ্মীগঞ্জের মকবুল হোসেন গ্রুপ এবং নয়াগাঁওয়ের জাহিদ হাসান গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।"

এর আগে সোমবার রাতেও শহরতলীর নয়াগাঁওয়ে এই দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন গুলিদ্ধিসহ পাঁচজন আহত হয়।

এবিষয়ে পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কমিশনার মকবুল হোসেন বলেন, "জাহিদ ও রাজন প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে সন্ত্রাসী দল নিয়ে হাটলক্ষ্মীগঞ্জ এলাকায় বৃষ্টিরমত শতাধিক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এতে গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। পরে পুলিশ আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।"

নয়াগাঁওয়ের পঞ্চসার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাহিদ হাসান বলেন, "সোমবারের ঘটনার জের ধরে মকবুলের লোকজন প্রান্ত নামের তার এক সমর্থককে হাটলক্ষীগঞ্জে আটকে রেখে বেদম প্রহার করে। তাকে রক্ষা করতে গেলে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরে পুলিশ প্রান্তকে উদ্ধার।"

তিনি দাবি করেন, লঞ্চঘাটের আশপাশ এলাকায় নোঙ্গর করা বালুর ড্রেজার ও বাল্কহেড থেকে মকবুল নিয়মিত চাঁদা আদায় করে। এতে বাধা দেয়ার কারণেই বিরোধ সৃষ্টি হয়।

এই অভিযোগ অস্বীকার করে মকবুল হোসেন বলেন, "প্রাপ্ত সকল অর্থই হাটলক্ষীগঞ্জ নূরে মাদ্রাসাকে দেয়া হয়। এমনকি এগুলোর নিরাপত্তার জন্য নৈশ প্রহরীর খরচও নিজ পকেট থেকে দিচ্ছি । কিন্তু এই টাকার ভাগ নিতে রাজন ও জাহিদ লোক পাঠায়। টাকা না দেয়ার কারণেই সোমবার রাতে প্রথম গুলি করে। পরে আবার বিনা কারণে দ্বিতীয়বার আক্রমণ চালায়।"

প্রান্ত নামের জাহিদের ওই সমর্থককে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে মকবুল বলেন, "হামলা করতে আসার পর সকলে পালিয়ে গেলেও হয়তো প্রান্ত আটকা পরে গিয়েছিল।"

এব্যাপারে জাহিদ হাসান বলেন, "টাকার ভাগের অভিযোগ সঠিক নয়। মকবুলের বিরুদ্ধে বালুর হাজাজে চাঁদাবাজিসহ নানা রকম অভিযোগ রয়েছে।"

এসব ঘটনায় সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইমদাদ হোসাইন বলেন, "অবৈধ অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তারে ব্যাপক অভিযান শুরু হয়েছে। যত ক্ষমতাধরই হোক না কেন কাউকেই ছাড়া দেয়া হবে না। অস্ত্রধারীরা কাদের আশ্রয়ে রয়েছে, সবই তথ্যই পুলিশের কাছে রয়েছে।"