একাত্তরে কে কী করেছে ভুলে যান: খন্দকার মাহবুব

একাত্তরে ‘কে কী করেছে’ তা ভুলে গিয়ে সবাইকে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে বললেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও বার কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট খন্দকার মাহবুব হোসেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Sept 2014, 08:40 AM
Updated : 29 Sept 2014, 10:26 AM

সোমবার এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি বলেন, “আমরা বাঙালি, যারা দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। একাত্তরে কে কী করেছে তা ভুলে সবাইকে এক হয়ে মাঠে নামতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।”

একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী জামায়াতের জোটসঙ্গী বিএনপির এই নেতার ভাষায়, আওয়ামী লীগ সরকার বিদায় নিলেই ‘সব সমস্যার সমাধান’ হয়ে যাবে।

“সমস্যা একটা, সমাধানও একটাই। আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া অবৈধ সরকারকে বিদায় করতে হবে। এ সরকারকে বিদায় করতে পারলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।”

একের পর এক আইন করে বর্তমান ‘অবৈধ সরকার’ জাতিকে ‘শৃঙ্খলে আবদ্ধ’ করে ফেলছে বলেও মন্তব্য করেন মাহবুব হোসেন।

“সম্প্রচার নীতিমালা, আইসিটি আইনসহ নানা আইন করতে করতে শেষ আইন করেছে অভিসংশন আইন।… বিচারকদের চাপে রাখতে এ সংশোধনী করেছে। অবৈধ সরকার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। এখন এ সরকারকে সরাতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”

শেখ হাসিনা সরকারের ‘পতন নিশ্চিত করতে’ বিএনপি চেয়ারপার্সন ‘যথাসময়ে’ ডাক দেবেন বলেও মন্তব্য করেন তার উপদেষ্টা।

“শেখ হাসিনা বাঘের পিঠে উঠেছে। সেখান থেকে নামতেও পারছে না, নামলেই শেষ। তিনি কোনো নির্বাচন দেবেন না। তার পতন ঘটাতে হবে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে।”

সেই ‘গণঅভ্যুত্থানের জন্য’ প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে মাহবুব বলেন, “বিএনপি নেত্রী অবশ্যই সময়মতো ডাক দেবেন। নেত্রীর অভিজ্ঞতা ও প্রজ্ঞাকে অবমূল্যায়নের সুযোগ নেই। তিনি ডাক দিলেই মাঠে নামতে হবে, পতন ঘটাতে হবে অবৈধ সরকারের।”

জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ’৭১ নামে বিএনপিপন্থি একটি সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘অভিসংশন আইন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা’ শীর্ষক এই গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে।

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, “আমরা মধ্যবর্তী নির্বাচন চাই না। আমরা একটা নির্বাচন চাই। কারণ ৫ জানুয়ারির নির্বাচন একটা তামাশা।

“ত্রুটিপূর্ণ ওই নির্বাচন কারো কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি। দ্রুত নির্বাচন না হলে প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্ব বাড়তেই থাকবে। তাতে দেশের ভবিষ্যত হবে খুব খারাপ।”

ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, সহ-আইন সম্পাদক তৈমুর আলম খন্দকার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সাবেক সাংসদ শাম্মী আক্তার আলোচনায় অংশ নেন।