‘টার্গেটের’ বেশি ভোটার পাচ্ছে ইসি

ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তিতে ‘কড়াকড়ির’ পরও ধারণার চেয়ে কয়েক লাখ বেশি ভোটার পাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

মঈনুল হক চৌধুরীবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Sept 2014, 03:54 PM
Updated : 22 Sept 2014, 03:54 PM

অবশ্য এ ধরনের ঘটনাকে ‘স্বাভাবিক’ বলছে ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ।

বর্তমান ভোটার তালিকার ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫০ হাজার ৬৪১ জন ভোটারের তথ্য রয়েছে। ভোটার বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশ বিবেচনায় এবার ৪৬ লাখ নতুন যোগ হতে পারে বলে ধারণা ছিল কমিশনের।

তবে হালনাগাদে এ পর্যন্ত ভোটারযোগ্য ৪৮ লাখ ২৯ হাজার ৯৯৬ জনের তথ্য সংগ্রহ হয়েছে। এছাড়া রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত অনুপস্থিত ভোটার সংখ্যা ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৫০৫ জন।

এসব যোগ করলে নতুন মোট ভোটারের তথ্য দাঁড়ায় প্রায় প্রায় ৫৬ লাখের বেশি। আর চূড়ান্ত হলে মোট ভোটারের সংখ্যা দাঁড়াবে ৯ কোটি ৭০ লাখের মতো, যা মোট জনসংখ্যার ৬১ শতাংশেরও বেশি।

এ হিসাবে দেশে মোট জনসংখ্যার মাত্র ৩৯ শতাংশের বয়স ১৮ বয়সের নিচে।

ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দীন বলেন, “টার্গেটের চেয়ে কিছু ভোটারের তথ্য সংগ্রহ বেশি হওয়া অস্বাভাবিক বিষয় নয়। কিন্তু ভোটারযোগ্যরা যেন বাদ না পড়ে সে বিষয়ে নজর রয়েছে বেশি।”

তিনি জানান, অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার হওয়ার চেষ্টা, দ্বৈত ভোটার হওয়া, ভুয়া তথ্য দেওয়া কিংবা একাধিক তথ্য দেওয়ার বিষয়টি মাথায় নিয়ে সব যাচাইয়ের পর খসড়া প্রকাশ করা হবে জানুয়ারির শুরুতে। আপত্তি-নিষ্পত্তি শেষ করে চূড়ান্ত তালিকা হবে।

“চূড়ান্ত তালিকা হওয়ার পরই নিশ্চিত করব হালনাগাদে কত ভোটার যোগ হয়েছে। বাছাইয়ে কতজনের আবেদন বাতিল হয়েছে, মৃত্যুর কারণে কত বাদ পড়েছে বা কত ভোটার তথ্য সংশোধন ও স্থানান্তর করেছে।”

ইসির তথ্যভান্ডারটি নির্ভুল করতে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দীন।

গত ১৫ মে থেকে ছয় মাস ধরে হালনাগাদ কাজ চলছে দেশজুড়ে। ইতোমধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকাসহ সারাদেশের ৫ শতাধিক উপজেলা ও নির্বাচনী থানায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হয়েছে। শেষ ধাপের নিবন্ধন কাজ শেষ হবে ১৫ নভেম্বর।

উদ্বেগ নারীদের নিয়ে

ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিবন্ধনের হার ৫ শতাংশ হলেও অনেক উপজেলায় এ হার ৪ শতাংশের কম এবং অনেক উপজেলায় ৬ শতাংশের বেশি।

হালনাগাদে পুরুষ ভোটারের অনুপাতে নারী কম হওয়ায় মাঠপর্যায়ে তদন্ত করে ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন পাঠাতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে ইসি।

সোমবার ইসির জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মাহফুজা আক্তার স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় জানানো হয়, ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী মোট জনসংখ্যার ৫০ দশমিক ০৬ শতাংশ পুরুষ ও ৪৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ নারী।

অথচ এবার হালনাগাদে এ হার প্রথম ধাপে পুরুষ ৫৭ দশমিক ২৭ শতাংশ ও নারী ৪২ দশমিক ৭৬ শতাংশ, দ্বিতীয় ধাপে পুরুষ ৫৭ দশমিক ১২ শতাংশ ও নারী ৪২ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, যেসব এলাকায় নারী অন্তর্ভুক্তি ৪৫ শতাংশ বা তার নিচে সে এলাকার প্রতিটি ফরম যাচাই করে এবং সরেজমিনে গিয়ে কেউ বাদ পড়েছে কিনা এবং সংশোধন, কর্তন ঠিক মত করা হয়েছে কিনা যাচাই করে ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।