রাজনৈতিক আলোচনায় অবসর কাটানোর দিন নেই : মঞ্জু

রাজনৈতিক আলোচনায় ‘অবসর’ সময় না কাটিয়ে অর্থনৈতিক কাজে ব্যস্ত থাকার কারণেই দেশের মানুষ হরতাল ও অবরোধের মত কর্মসূচিতে সাড়া দিচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বন ও পরিবেশমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।   

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Sept 2014, 04:11 PM
Updated : 21 Sept 2014, 04:11 PM

গত ২০ সেপ্টেম্বর শনিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে জাতীয় পার্টি- জেপি’র এক মতবিনিময় সভায় দলটির চেয়ারম্যান মঞ্জু বিএনপির হরতাল কর্মসূচি নিয়ে এই মন্তব্য করেন।

পালকি পার্টি সেন্টারে দলটির যুক্তরাষ্ট্র শাখা আয়োজিত সভায় তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ এখন আন্দোলন-হরতাল-অবরোধে সাড়া দেন না। তারা রয়েছেন নিজ নিজ কাজকর্ম নিয়ে। হাঁস-মুরগি-গরু-ছাগল-মৎস্য খামার এবং কৃষি ভূমিতে অধিক ফলন ফলিয়ে কীভাবে নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন সাধন করা যায় সেটি নিয়ে ব্যস্ত বাংলাদেশের মানুষ।

“এক সময় একটি ধারণা তৈরি হয়েছিল যে, বাংলাদেশের মানুষের অবসর কাটে রাজনৈতিক আলোচনায়। এখন আর সেদিন নেই।”

জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে ১৮ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে আসেন মঞ্জু।

মতবিনিময় সভায় জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে জাতিসংঘের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করে মঞ্জু বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনরোধে ১০০ বিলিয়ন ডলার দেয়ার যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল, তার বাস্তবায়ন দেখিনি। মাত্র ১৩৪ মিলিয়ন ডলার দেয়া হলেও তার পুরোটার ছাড় মেলেনি।

“অথচ বাংলাদেশের গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়নে আমরা নিজেরা ১৩৪ মিলিয়ন ডলার এবং দেশি ও বিদেশি মিলিয়ে আরও ১৯৪ মিলিয়ন ডলারের মত ব্যয় করে পরিবেশ দূষণ রোধকল্পে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি।”

মঞ্জু বলেন, “আমরা বসে নেই। ইতোমধ্যে সারা বাংলাদেশে চার কোটি বৃক্ষ রোপন করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনরোধে বেশ কিছু কর্মসূচির বাস্তবায়ন ঘটেছে। দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রেও জাতিসংঘ সংস্থাগুলোর অঙ্গীকারের পুরো বাস্তবায়ন ঘটতে দেখা যায়নি।”

“এমন অবস্থায়ও বাংলাদেশের মানুষ খেয়ে, না খেয়ে নিজেদের জীবনমানের উন্নয়নে নিরলসভাবে শ্রম দিচ্ছেন,” বলেন মঞ্জু।

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় বাংলাদেশের সামগ্রিক কল্যাণের কথা ভাবেন এবং এজন্যে আমরাও সবকাজে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।”

অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় পার্টি-জেপি’র যুগ্ম মহাসচিব আলাউদ্দিন ভুলু, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নিজাম চৌধুরী, সাবেক এমপি মনিরুল ইসলাম এবং আব্দুল মুকিত চৌধুরী।