তবে বন্দর রক্ষার নামে আন্দোলনকারীরা বন্দর ‘অরক্ষা’ করছেন বলে নৌমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদও জানিয়েছেন তিনি।
হজ করতে বর্তমানে সৌদি আরবে থাকা মহিউদ্দিন এক বিবৃতিতে বলেন, “হজ শেষে এ ধরনের বৈঠক আয়োজন হলে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত থেকে সমস্যা কোথায় এবং কারা বন্দর তথা সরকারি অর্থ লুটপাটে লিপ্ত তা চিহ্নিত করে দিতে সচেষ্ট থাকব।”
রোববার রাতে মহিউদ্দিনের একান্ত সচিব মুহাম্মদ ওসমান গণি স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিবৃতির বিষয়ে জানানো হয়।
গত কয়েক মাস ধরে বন্দরের সিসিটি, এনসিটি (আংশিক) ও আইসিডি পরিচালনাকারী বার্থ অপারেটর সাইফ পাওয়ার টেকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে বন্দর রক্ষা পরিষদের।
পরদিন ১১ সেপ্টেম্বর নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি মহিউদ্দিন চৌধুরী ‘ব্যক্তিস্বার্থে’ আন্দোলন করছেন বলে অভিযোগ করে।
সর্বশেষ শনিবার চট্টগ্রামে এসে এ বিষয়ে মুখ খোলেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান।
চাক্তাইয়ে এক অনুষ্ঠানে নৌমন্ত্রী বলেন, “যারা বন্দর রক্ষার নামে আন্দোলন করছেন তারাই বন্দর ‘অরক্ষা’ করছেন। এসবের কারণে বন্দরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।”
মন্ত্রী মহিউদ্দিনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, রাস্তায় কিছু না বলে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে মহিউদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে দুর্নীতির সুর্নিদিষ্ট অভিযোগ এনে বন্দর রক্ষা পরিষদ আন্দোলন শুরু করেছে।
“এর আগে লিখিতভাবে বন্দরে সরকারি অর্থের লুটপাট এবং অবৈধ-চুক্তিভঙ্গকারী সাইফ পাওয়ারটেকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা নিয়ে নৌমন্ত্রীসহ সরকারের উর্ধতন বিভিন্ন সংস্থাকে জানিয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নিরবতা পালন করায় লুটপাট বন্ধে সরকারকে সজাগ করতেই আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছে বন্দর রক্ষা পরিষদ।
“বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন, বন্দর ব্যবহারকারী ও সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বারবার আহ্বানে এবং এই আহ্বানের যৌক্তিকতা থাকায় আমি সাড়া দিয়েছি। বন্দরের চলার গতি রুদ্ধ করার কোনো উদ্দেশ্য এ আন্দোলনের নেই।”
বিবৃতিতে তিনি সাইফ পাওয়াটেকের নানা অনিয়মের কথাও তুলে এসব বিষয়ে সংসদীয় কমিটিকে বন্দরে এসে তদন্ত করারও আহ্বান জানান।