রোববার সচিবালয়ে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও হরতালের বিষয়টি এডিবি প্রতিনিধিরা কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, “কীসের হরতাল? আপনারা দেখছেন না কি হরতাল হচ্ছে? জামায়াত একটা ব্লাডি পার্টি। তারা বাংলাদেশে বিশ্বাস করে না। আমি তাদের ঘৃণা করি।”
গত ১৭ সেপ্টেম্বর যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিলের রায়ে মৃত্যুদণ্ড থেকে সাজা কমিয়ে আজীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। এরপর থেকে জামায়াতের সঙ্গে সরকারের আঁতাতের অভিযোগ তুলে শাহবাগে আন্দোলন করছে গণজাগরণ মঞ্চের একটি অংশ।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মুহিত বলেন, “টোটালি রাবিশ। এটা নিয়ে আমরা গতকাল আলোচনা করেছি। জামায়াত আমাদের সাথে কীভাবে কথা বলবে। এটা ওরা (জামায়াত) ছড়াচ্ছে। এর সাথে বিএনপিও আছে।”
অর্থমন্ত্রী বলেন, “আইন করে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা যায়। কিন্তু করলে মহা অসুবিধা আছে। তারা আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাবে। খুন-খারাবি করবে। ওরা খুন খারাবিতে ওস্তাদ।”
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার আগে অর্থমন্ত্রী এডিবির নির্বাহী পরিচালক মালিয়ামি বিন হামাদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে মুহিত বলেন, সরকারের নীতি, ভবিষ্যত পরিকল্পনা ও অর্থনীতির ঝুঁকি নিয়ে এডিবি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে।
“তারা বলেছে, ‘তোমরা বেসরকারি খাতকে এতো গুরুত্ব দিচ্ছ- কিন্তু বিনিয়োগ বাড়ছে না কেন?’”
চট্টগ্রামের কোরিয়ান ইপিজেডের কাছ থেকে জমি ফিরিয়ে নেয়া হতে পারে ইঙ্গিত দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “১৯৯৬ সালে তাদের আড়াই হাজার একর জমি দেয়া হয়েছে। ৫০০ একর জমিও তারা ব্যবহার করতে পারেনি। তাদের একটা সময় দিয়ে বলা হবে- তোমরা এগুলোর ব্যবহার করো নতুবা ছেড়ে দিতে হবে। বাংলাদেশে এতো জমি ফেলে রাখার সুযোগ নেই।”
আসন্ন শীত মৌসুমে দেশে নতুন করে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে কি না- এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, “শীতকালে কেন? কোন সময়েই রাজনৈতিক অস্থিরতার কোনো আশঙ্কা আমি দেখছি না।
“আর বিদেশি চাপও কিছু নেই। শুধু ইউএসএ বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলছে। রাবিশ। আমি বদার করি না। কারণ তারা অনেক অহেতুক বিষয়েও কথা বলে। প্রফেসর ইউনূসকে নিয়ে কথা বলে।”