ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত সাঈদীর সাজা কমে আমৃত্যু কারাদণ্ডের প্রেক্ষাপটে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে শনিবার শাহবাগে এক সমাবেশে এই অভিযোগ করেন তিনি।
সাঈদীর রায়ের পর প্রতিবাদে পুলিশি অভিযান এবং ত্রিধাবিভক্ত মঞ্চের বিরোধের মধ্যে এদিন মশাল মিছিল করে ইমরান নেতৃত্বাধীন অংশ। মিছিলের পর সমাবেশ হয়।
ইমরান বলেন, “সরকার জামাত-শিবিরকে হরতাল-মিছিল থেকে বিরত রেখে আইনিভাবে তাদের চাহিদা পূরণ করেছে, এ রায় তারই প্রতিফলন। সরকার আসলে যে কোনো মূল্যে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছে।”
যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন শুরু থেকে এর মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করে আসছেন ইমরান।
যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ ইমরানের তোলার প্রেক্ষাপটে এই বছরের শুরুতে ছাত্রলীগসহ সরকার সমর্থক কয়েকটি সংগঠন ইমরানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তোলে।
এরপর কয়েক মাস আগে শাহবাগে একদিন মারামারির পর মুক্তিযোদ্ধা ছাত্র কমান্ড নেতা মোস্তফা কামাল পাশা আলাদাভাবে গণজাগরণ মঞ্চ নামে কর্মসূচি পালন শুরু করেন।
বিরোধের মধ্যে শুক্রবার ইমরানদের ওপর পুলিশি অভিযানের পর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এর মধ্যেই এই দুই পক্ষের বাইরে শুক্রবার ছাত্রমৈত্রী সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসু আলাদা ব্যানার নিয়ে এদিন শাহবাগে অবস্থান নেন।
এদিকে শনিবার ইমরান নেতৃত্বাধীন অংশের মিছিল শেষ হওয়ার পর কামাল পাশা নেতৃত্বাধীন অংশও রায়ের প্রতিবাদে শাহবাগে মশাল মিছিল করেছে।