বিএনপি-জামায়াত-ড.কামাল ‘এক সুতোয় বাঁধা’ : কামরুল

বিএনপি, জামায়াত ও ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সৃষ্ট ‘নতুন মেরুকরণ’ ‘এক সুতোয় বাঁধা’ বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Sept 2014, 04:05 PM
Updated : 17 Sept 2014, 04:05 PM

বুধবার সকালে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে  এ মন্তব্য করেন তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “এইসব মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি জঙ্গিবাদ,আইএসআইইয়ের সাথে মিশে দেশকে অসাংবিধানিক ব্যবস্থায় নিতে চাচ্ছে। বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মত অকার‌্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাচ্ছে। দেশকে ঠেলে দিতে চাচ্ছে অন্ধকারে। আর নব্য ইতিহাসবিদদের ইতিহাস চর্চার উদ্দেশ্যও এক।”

জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘চলমান রাজনীতি: মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে প্রকাশনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা ও মহীয়সী নারী মাদার তেরেসার জন্মবার্ষিকী এবং কবি মুহম্মদ আবদুল খালেকের সাহিত্য কর্ম’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বিশ্ব বাঙ্গালী সম্মেলন ও দক্ষিণ এশিয়া সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ।

ফাইল ছবি

কবি মুহম্মদ আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় খাদ্যমন্ত্রী বলেন,“নব্য ইতিহাসবিদদের ইতিহাস চর্চার উদ্দেশ্য আছে। কেউ মৃত্যুসন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে অহেতুক আকস্মিক ইতিহাস চর্চা করছেন। আবার কেউ একেবারে লেখাপড়া না করে অর্বাচীনের মত ইতিহাস চর্চা করছেন। এদের মধ্যে যোগসূত্র আছে। তারা নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছে।”

‘চারিদিকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এক-এগারোর কুশীলব ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে আবার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ৫ জানুয়ারি নির্বাচন না হলে বাংলাদেশে সাংবিধানিক সংকট হতো। আমরা হয়ত আবারও অগণতান্ত্রিক সরকার দেখতাম। তারা এটাই চেয়েছিল।”

সাবেক সচিব সিরাজউদ্দিন আহমেদ বলেন,“২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী হওয়ার পর এ কে খন্দকারের সাথে আমার আলাপ হয়। তখনই মনে হয়েছিল উনার স্মৃতিভ্রম হয়েছে। বঙ্গবন্ধু গ্রেপ্তারের আগে যে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন তার হাজার হাজার প্রমাণ আছে। আর উনি বলছেন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি।”

“আমি তখন বরগুনার ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। ২৬ মার্চ সকালে টেলিফোন অফিসে গেলাম। সেখান লোকজন আমাকে জানালো বঙ্গবন্ধু রাতে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন, যা টেলিফোন অফিসগুলো সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়েছে।”  

এ কে খন্দকার কেন ‘মিথ্যা তথ্য’ দিয়ে বই লিখলেন তার কারণ খুঁজে বের করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন কয়েকজন বক্তা।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আজকের সূর্যোদয় পত্রিকার সম্পাদক খন্দকার মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগের উপ কমিটির সহ সম্পাদক এম এ করীম, এম এ ওয়াজেদ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সভাপতি এ কে এম ফরহাদ প্রমুখ।

দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর রায়ের প্রতিক্রিয়ায় খাদ্যমন্ত্রী

অনুষ্ঠান শেষে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় সম্পর্কে জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন,“বিচারবিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। সরকারের কোন প্রভাব সেখানে নেই। নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা শেখ হাসিনাই করতে পারেন। স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর একাত্তরের ঘাতকদের আমরা বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পেরেছি এটাই আমাদের বড় পাওনা।”