দেশকে ‘যুদ্ধক্ষেত্র বানানোর চক্রান্ত’ দেখছেন অলি

জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়ে বাংলাদেশকে ‘যুদ্ধক্ষেত্র’ বানানোর চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান অলি আহমদ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Sept 2014, 08:15 PM
Updated : 16 Sept 2014, 08:16 PM

মঙ্গলবার বিকালে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “এই সরকারে গায়ের জোরে ক্ষমতায় বসে আছে। এখানে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টি করে বাংলাদেশকে যুদ্ধক্ষেত্র বানানোর পরিকল্পনা চলছে। এই সরকারের আমলে জঙ্গিবাদের উত্থান হচ্ছে।”

অলির দাবি, ‘সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজ-টেন্ডারবাজ-দুর্নীতিবাজ’ ছাড়া দেশের কোনো মানুষই বলতে পারবেন না- তারা শান্তিতে আছেন।

দ্রুত নির্বাচন দেয়ার দাবি জানিয়ে এলডিপি চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা দেশে কোনো বিশৃঙ্খলা বা অস্থিরতা চাই না। প্রধানমন্ত্রীকে বলব, আপনার বয়স এখন শেষের দিকে। ২০২১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার চিন্তা বাদ দিয়ে সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা নিন।”

তা না হলে ‘রাজপথে আন্দোলন ছাড়া’ বিকল্প থাকবে না বলে হুঁশিয়ার করেন ২০ দলীয় জোটের এই নেতা।

জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে ‘গণবিরোধী জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা, বিচারপতিদের অভিশংসন ক্ষমতা অবৈধ সংসদের হাতে ফিরিয়ে দেয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহর ওপর হামলার ঘটনা গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত’ শিরোনামে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

ফাইল ছবি

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদকে ‘মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারী’ আখ্যায়িত করে সাবেক বিএনপি নেতা অলি বলেন, “এরশাদই রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও জেনারেল মঞ্জুরের হত্যাকারী। সে এদেশে অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত। দেশের রাজনীতিকে নষ্ট করার জন্য এরশাদই দায়ী।’’

পিলখানা বিদ্রোহের সময় ৫৭ সেনা কর্মকর্তা নিহতের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারকে দায়ী করেন তিনি।

“বর্তমান সরকার প্রধান দেশে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাকশাল চালু করেছে। প্রশাসন, বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। পুলিশ তাদের করায়ত্বে। দুর্নীতি দমন কমিশন বলুন, পিএসসি বলুন কিংবা নির্বাচন কমিশন বলুন- সব কিছুই আওয়ামী লীগের অনুগতদের নিয়ন্ত্রণে।”

এজন্য বিগত চার দলীয় জোট সরকারেরও দায় আছে বলে মন্তব্য করেন সে সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে থাকা অলি।

“বর্তমান সরকারের এই নিয়ন্ত্রণমূলক পরিস্থিতির জন্য আমরাও কমবেশি দায়ী। আমরা যদি ওই সময়ে এসব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগ বিধি তৈরি করে আসতাম অর্থাৎ রাজনীতির সঙ্গে সর্ম্পকযুক্ত ব্যক্তিদের নিয়োগ দেয়া যাবে না- এরকম বিধি তৈরি করতাম, তাহলে আজ এভাবে দলীয় ব্যক্তিদের নিয়োগ দেয়া যেত না।”

ওই জোট সরকারের রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দীন আহম্মেদকে ‘মেরুদণ্ডহীন’ আখ্যায়িত করেন অলি।

“মেরুদণ্ডহীন এক লোককে প্রেসিডেন্ট করা হলো। যাকে ইয়েস উদ্দীন অথবা দালাল উদ্দীন বলা যায়। এসব নানা ভুল ছিলো বিএনপির। সেই ভুলে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে।’’

সংগঠনের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, মুক্তিযোদ্ধা দলের জয়নাল আবেদীন, ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, আবু সাঈদ খান বক্তব্য দেন।