মঙ্গলবার জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ এক বিবৃতিতে বলেন, “সরকার অন্যায়ভাবে সাঈদীকে দীর্ঘ দিন ধরে কারাগারে আটক রেখেছে। তিনি সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।”
মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, নির্যাতন ও ধর্মান্তরে বাধ্য করার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াতের নায়েবে আমির সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
ওই রায়ের পর সারা দেশে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় জামায়াতের নেতাকর্মীরা। সহিংসতায় প্রাণ হারায় পুলিশসহ অর্ধশতাধিক।
এছাড়া দুই শতাধিক আহত, বহু গাড়ি-দোকানপাট ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, হিন্দুদের মন্দির- ঘরবাড়ি ভাংচুর করা হয়।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে সাঈদীর আপিলের রায় হচ্ছে বুধবার। প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করবে।
একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী এই দলটি যুদ্ধাপরাধের মামলায় অধিকাংশ রায়ের দিন হরতাল ডাকলেও নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন বাতিল হওয়ার পর হরতাল ডেকে দলটির বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা আদালত অবমাননার অভিযোগের মুখে পড়েন।
এবার সাঈদীর রায়ের দিন ঘিরে জামায়াতের হরতালের কোনো ঘোষণা এখনো আসেনি।
মকবুল আহমাদ বিবৃতিতে বলেন, “মিথ্যা, বায়বীয় ও কাল্পনিক অভিযোগে তার (সাঈদী) বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে মিথ্যা সাক্ষীর উপর ভিত্তি করে তাকে সাজা দেয়া হয়েছে।”
সাঈদীকে ‘সরকারের জুলুম থেকে বাঁচাতে’ দেশবাসীর কাছে দোয়াও চেয়েছেন তিনি।