সোমবার আগ্রাবাদে চট্টগ্রাম করবিভাগ আয়োজিত জাতীয় আয়কর দিবসের অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন চট্টগ্রাম নগর ও জেলা, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার ২৯ জন করদাতার হাতে সম্মাননা স্মারক (ক্রেস্ট) তুলে দেন।
সবার সঙ্গে মন্ত্রীর হাত থেকে ক্রেস্ট নেন অনুষ্ঠানমঞ্চে মন্ত্রীর পাশের আসনে থাকা কক্সবাজার-৪ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বদি।
সম্মাননা নিতে এসে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার প্রসঙ্গও এনে তিনি বলেন, “দুদক চেয়ারম্যান আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন, কিন্তু আয়কর বিভাগ আমাকে সর্বোচ্চ করদাতার সম্মাননা দিয়েছে।”
নিজে সৎ থেকে কাজ করছেন দাবি করে এই সংসদ সদস্য বলেন, “গত পাঁচ বছরে ৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা কর দিয়েছি। গতবছর দিয়েছি ১ কোটি ৫২ লাখ টাকা।”
দুর্নীতির অভিযোগ দুদক প্রমাণ করতে পারলে সংসদ সদস্যপদ ছেড়ে দেবেন বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
দুদকের মামলায় গত ১১ সেপ্টেম্বর হাই কোর্ট থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন নেন বদি।
দশম জাতীয় সংসদের নির্বাচনী হলফনামাকে ভিত্তি করে সম্পদ অনুসন্ধানের পর বদির বিরুদ্ধে গত ২১ অগাস্ট দুদকের উপপরিচালক খায়রুল হুদা মামলা করেন।
মামলায় তার বিরুদ্ধে ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। এই সম্পদের তথ্য গোপন করে তার ওপর প্রযোজ্য কর ফাঁকির দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে কক্সবাজারের ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণেরও অভিযোগ রয়েছে।
কক্সবাজারে নিষিদ্ধ ট্যাবলেট ইয়াবার বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ১২শ মাদক ব্যবসায়ীর যে তালিকা নিয়ে অভিযান চালাচ্ছে তাতেও বদিসহ তার কয়েকজন স্বজনের নাম রয়েছে।
মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের করা ওই তালিকায় বলা হয়েছে, ভাই-বেয়াই, মামা-ভাগ্নে মিলিয়ে বদিসহ ১০ জন ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত।
তবে বদি বরাবরই ইয়াবার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে এসেছেন।
ওই তালিকার বিষয়ে তার বক্তব্য, “তালিকায় নাম থাকার ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। মনে হয় কোনো ভুল হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াবার বিরুদ্ধে। আমিও বিরুদ্ধে। ইয়াবা নির্মূল আমিও চাই।”