জয় পাকিস্তান ‘শুনেছেন’ গয়েশ্বরও

বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দাবি করেছেন, একাত্তরের ৭ মার্চ তিনি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘জয় পাকিস্তান’ বলতে শুনেছেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Sept 2014, 11:03 AM
Updated : 14 Sept 2014, 01:27 PM

রোববার দুপুরে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের উপ অধিনায়ক একে খন্দকার তার ‘১৯৭১: ভেতরে-বাইরে’ বইয়ে বঙ্গবন্ধুর ‘জয় পাকিস্তান’ বলার কথা লিখেছেন বলে আজ আওয়ামী লীগ তাকে বাদ করে দিয়েছে, তার বই পুড়িয়েছে।

“৭ মার্চ আমি সোহওয়ার্দী উদ্যানে উপস্থিত থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ নিজ কানে শুনেছি। ওই দিন আমি মঞ্চ থেকে ৫০ গজ দূরে ছিলাম।”

ফাইল ছবি

ষাটোর্ধ্ব গয়েশ্বর বলেন, একাত্তরে তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। সেই হিসাবেই তিনি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সেই সমাবেশে গিয়েছিলেন। শেখ মনি, সিরাজুল আলম খান, তোফায়েল আহমেদের মতো ছাত্র নেতাদের সভামঞ্চে বঙ্গবন্ধুর পেছনে দেখেছিলেন।

“শেখ মুজিব যেমন জয় বাংলা বলেছিলেন। তেমনি দরাজ কণ্ঠে জয় পাকিস্তানও বলেছিলেন। আমি মনে করি, ওই মুহূর্তে শেখ মুজিবের জয় পাকিস্তান বলাটা কোনো অপরাধ হয়নি। এতে কোনো পাপ হয়নি।”

চলতি মাসের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধের উপসেনাপতি এ কে খন্দকারের নতুন বইটি প্রকাশিত হলে তথ্য বিকৃতির অভিযোগে তার ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।

বইয়ে তিনি লিখেছেন, ৭ মার্চের ভাষণ ‘জয় পাকিস্তান’ বলে শেষ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এছাড়া আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ছিল না বলেও লিখেছেন সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তা।

অবশ্য দ্বিতীয় সংস্করণে সংশোধনী এনে তিনি লেখেন, বঙ্গবন্ধু সেদিন ভাষণ শেষ করেছিলেন ‘জয় বাংলা, জয় পাকিস্তান’ বলে।

গত মহাজোট সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী খন্দকারের বই নিয়ে জাতীয় সংসদেরও তুমুল সমালোচনা হয়। বইটি নিষিদ্ধ করারও দাবি তোলেন আওয়ামী লীগের কয়েকজন সাংসদ।

ছাত্রলীগ থেকে জাসদ হয়ে বিএনপিতে আসা গয়েশ্বর বলেন, “শেখ মুজিবের ওই বক্তব্যটি ছিল ওই সময়ের বাস্তবতায় সঠিক। এটা বলাতে তার স্বাধীনতা যুদ্ধের অবদানকে খাট করা যাবে না।

“আজ আওয়ামী লীগের লোকজন জেনারেল এম এ জি ওসমানী ও জিয়াউর রহমানের অবদানকে স্বীকার করতে চায় না। এ কে খন্দকার, যিনি তাদের এতো প্রিয় ছিলেন, তিনিও তাদের কাছে অপ্রিয় হয়ে গেলেন সত্য বলার জন্য।”

এ কে খন্দকারের বই পুড়িয়ে ‘সত্যকে মুছে ফেলা যাবে না’ বলেও মন্তব্য করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।