সংগঠন দুটি পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে পরস্পরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগও তুলেছে।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী ২২ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্ক যাচ্ছেন।
২৭ সেপ্টেম্বর বিকালে শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। এজন্য স্থানীয় একটি হোটেলের বলরুম ভাড়া নিয়েছে তারা।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্ব করার কথা রয়েছে। অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ।
তাদের প্রস্তুতির মধ্যেই গত ৩১ অগাস্ট জ্যাকসন হাইটসের ফুডকোর্টে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের এক সংবাদ সম্মেলনে সংবর্ধনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভূমিকার সমালোচনা করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সমর্থকরাই রয়েছেন।
সংসদের আহ্বায়ক নূরনবী কমান্ডার, সদস্য-সচিব এম এ বাতেনসহ সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সভানেত্রী মোর্শেদা জামান, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা সরাফ সরকার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের এ বি সিদ্দিক, খুরশেদ আনোয়ার বাবলু প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের উপস্থাপক যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর নাম সঠিকভাবে উচ্চারণ করতে পারেননি এবং ঠিকভাবে বলতে পারেননি বিশেষ অতিথিদের নামও।
ওই সংবাদ সম্মেলনের পর সোমবার পাল্টা সংবাদ সম্মেলন ডেকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটি গত তিন বছরে কখনোই বিরোধীদের রোষানলে পড়েনি। সব সময় আওয়ামী লীগে ঘাপটি মেরে থাকা লোকজনের সমালোচনার শিকার হচ্ছে।”
শেখ হাসিনার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এবং ব্যবস্থাপনায়ই হবে বলে ঘোষণা দেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে এ মাসেই।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে নতুন কমিটি গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে কি না- জানতে চাইলে সিদ্দিকুর বলেন, “আগের কমিটি ১১ বছর কাজ করেছে। আমরা মাত্র তিন বছর করলাম। এত তাড়াতাড়ি কমিটি পরিবর্তনের কারণ দেখছি না।”
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনার সহসভাপতি সামসুদ্দিন আজাদ। সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, আইরিন পারভিন, সৈয়দ বসারত আলী, লুৎফুল করিম, আব্দুর রহিম বাদশা, চন্দন দত্ত, আবুল মনসুর খান প্রমুখ।