‘মুমূর্ষু’ বিএনপিকে অভিনন্দন হাছান মাহমুদের

বিএনপি এখন ‘মুমূর্ষু’ অবস্থায় রয়েছে দাবি করলেও দলটিকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Sept 2014, 10:41 AM
Updated : 1 Sept 2014, 10:41 AM

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘দেশের চলমান রাজনীতি’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আজ বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এই উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে আমি তাদের অভিনন্দন জানাই।”

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৭৫ সালে ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসা সেনা কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখলের পর ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএনপি গঠন করেন।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের জন্য জিয়াকে দায়ী করে আসা আওয়ামী লীগের নেতা হাছান মাহমুদ বলেন, দীর্ঘ সাড়ে তিন দশক ধরে এই দলটি বাংলাদেশে রাজনীতি করছে। কখনো সরকারে থেকে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে, কখনো বিরোধী দল হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে। তবে বর্তমানে সাংগঠনিকভাবে দলটি মুমূর্ষু অবস্থায় রয়েছে।”

নির্দলীয় সরকারের অধীনে না হওয়ায় দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে দুই যুগ পর এখন সংসদের বাইরে রয়েছে বিএনপি। নির্বাচন বর্জন বিএনপির ‘ভুল’ ছিল বলে আওয়ামী লীগ নেতাদের মূল্যায়ন।

হাছান মাহমুদ বলেন, “ (বিএনপির) এই অবস্থার জন্য তাদের দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া দায়ী। তিনি নিজের খেয়ালখুশি মতো দল পরিচালনা করেছেন। দলে গণতন্ত্রের চর্চা নেই।

“গণতন্ত্রের নামে মানুষ পুড়িয়ে মেরে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করে নিজেরাই নিজেদের নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করলেন।”

বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন মহাসচিব ও বর্তমানে বিকল্প ধারার সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজাকে কটাক্ষ করে হাছান বলেন, “মুমূর্ষু বিএনপিকে চাঙ্গা করার জন্য আজকাল অনেক বড় বড় ডাক্তাররা খালেদা জিয়ার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। আমি আশা করেছিলাম তাদের প্রচেষ্টা সফল হবে।

“কিন্তু তাদের যে অবস্থা… ডা. বদরুদ্দোজা একজন বড় ডাক্তার। তিনি কিছুদিন আগে বললেন, দেশে সরকারি দলও নেই, বিরোধী দলও নেই। আমার তো মনে হয় ডা. বদরুদ্দোজার নিজেরই ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন।”

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিএনপিকে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা হাছান।

এই আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সতীশ চন্দ্র রায়, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়াও বক্তব্য রাখেন।