জাসদের যুব সংগঠন জাতীয় যুব জোটের সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মস্তিস্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গোলাম মস্তফার মৃত্যু হয়।
এই বীর মুক্তিযোদ্ধার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।
তার দীর্ঘদিনের সাবেক রাজনৈতিক সহকর্মী তাহেরা বেগম জলি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুপুর ১২টার দিকে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলেও দীর্ঘ সময় কোনো চিকিৎসক আসেননি।
“সন্ধ্যা ৬টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর তাকে আইসিইউতি নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু আইসিইউতে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়।”
১৯৫১ সালের ১০ জুন বৃহত্তর যশোর জেলার বর্তমানের ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কাঁচেরকোল ইউনিয়নের রতিডাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন গোলাম মস্তফা। ১৯৭৩ সালে ঝিনাইদহ কেসি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি নেন তিনি। ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের আগের আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেন তিনি।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের পর ভারতে পালিয়ে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে ৮ নং সেক্টরের অধীনের পেট্রাপোল ক্যাম্পে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। বেনাপোল থেকে চার কিলোমিটার দূরে রঘুনাথপুর বিওপি ক্যাম্প উড়িয়ে দেওয়াসহ সেক্টরের অনেক সফল অভিযানের নেতৃত্ব দেন তিনি।
৮ নং সেক্টরের অধীন বৃহত্তর যশোর ও কুষ্টিয়া জেলার এফএফ বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি স্থানীয় ঝিনাইদহে ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৭৩-৭৪ সালে তিনি স্থানীয় কৃষক লীগের সভাপতি হন।
এর পার জাসদে যোগ দিয়ে ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন গোলাম মোস্তফা।
পরে তিনি জাসদ ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, চার মেয়ে ও এক ছেলে রেখে যান।