ফারুকীর খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার আধা বেলা হরতালের মধ্যে রাজধানীর পল্টনে এক সমাবেশে ইসলামী ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সচিব মোহাম্মদ মাসউদ হোসাইন আল-কাদরী এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, “সরকার জামায়াতকে বাঁচাতে চাইছে। হত্যাকাণ্ডের পর সরকারের তরফ থেকে কোনো নিন্দা জানানো হয়নি। জামায়াতের পক্ষ থেকে যেভাবে মাওলানা ফারুকীর বিরুদ্ধে প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানো হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে তারাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।”
রোববার সকাল ৬টা থেকে আধাবেলা হরতাল শুরুর পর রাজধানীর গেণ্ডারিয়া, কল্যাণপুর, বিজয়নগর, মিরপুর ও মতিঝিলে হরতালের সমর্থনে মিছিল করে ইসলামী ছাত্রসেনার কর্মীরা।
পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পল্টন মোড় ও বায়তুল মোকাররমের মাঝামাঝি এলাকায় রাস্তার একপাশে জড়ো হয়ে সমাবেশ শুরু করে ছাত্রসেনা ও ইসলামী ফ্রন্টের শ’ খানেক নেতাকর্মী।
গত ২৭ অগাস্ট রাতে পূর্ব রাজাবাজারের বাড়িতে পরিবারের সবাইকে বেঁধে ইসলামী ফ্রন্টের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুকীকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
ওই হত্যায় জড়িত সন্দেহে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া থেকে মাহমুদা খাতুন ও শরিফুল ইসলাম এবং কুমিল্লা থেকে ইউসুফ নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
‘আসল’ হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে ছাত্রসেনার সভাপতি মুহাম্মদ নুরুল হক চিশতী সমাবেশে জানান, সোমবার তারা আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করবেন। এছাড়া ২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে হবে প্রতিবাদ সমাবেশ।
পল্টনে ঘণ্টাখানেক সমাবেশ শেষে ছাত্রসেনা ও ইসলামী ফ্রন্ট কর্মীরা প্রেসক্লাবের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের বাঁধা দেয়। পরে তারা মিছিল করে মতিঝিলের দিকে চলে যান।
পল্টন এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশ সার্জেন্ট মশিউর রহমান বলেন, “সকাল থেকে তারা কয়েকবার এই সড়কে মিছিল করেছে। এখন প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ে আসবেন। এ কারণে আপাতত কাউকে যেতে দেয়া হচ্ছে না।
সড়কের একপাশে অর্ধেক রাস্তজুড়ে সমাবেশ চলাকালে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটেনি বলেও জানান তিনি।
ফারুকী সুন্নি মতাবলম্বী সংগঠন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। টেলিভিশনে ইসলামী অনুষ্ঠানও উপস্থাপনা করতেন তিনি।