বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সড়ক ও নৌপথ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নিজের দলের উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভায় নিজের পরিকল্পনার কথা জানান এই রাজনীতিক।
এক সময়ের ছাত্রনেতা ও ডাকসুর ভিপি মান্না বাসদ থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক হন। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির সময় দলে ‘সংস্কারপন্থি’ হিসেবে চিহ্নিত হন তিনি, পরে কাউন্সিলে পদও হারান তিনি।
এরপর নাগরিক ঐক্য নামে সংগঠনটি গঠন করেন মান্না। সংগঠনটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম নয় বলে গঠনের সময় বলা হয়েছিল।
গোলটেবিলে মান্না বলেন, “আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নানান রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে এত বেশি ব্যস্ত থাকে যে সামাজিক প্রপঞ্চগুলোতে মনযোগ দেয়ার মতো সময় এবং সুযোগ পায় না।
“আমরা রাজনৈতিক ও সামাজিক এই দুই আন্দোলনের মধ্যে সমন্বয় করে এগিয়ে যেতে চাই। রাজনীতির প্রতি সাধারণ জনগণের একপ্রকার বিতৃষ্ণা আছে। আমরা জনগণের সামনে নতুনভাবে রাজনীতিকে হাজির করতে চাই।”
এই রাজনীতির ধরন কেমন হতে পারে তার ব্যাখ্যাও গোলটেবিলে উপস্থাপন করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক।
“পিনাক-৬ ডুবে গেল। নৌ পরিবহন ক্ষেত্রের অব্যবস্থাপনার ফসল হিসেবেই এই ঘটনা ঘটেছে। এই অব্যবস্থাপনার পেছনে কি রাজনীতি নেই? যদি নৌ পরিবহন ব্যবস্থাপনা সংস্কারের দাবিতে কেউ এগিয়ে আসেন, আপাতভাবে সামাজিক প্রপঞ্চ মনে হলেও তিনি কি ওই রাজনীতিকে চ্যালেঞ্জ করছেন না?”
রাজনৈতিক এবং সামাজিক আন্দোলন পরস্পরের পরিপূরক উল্লেখ করে মান্না বলেন, “রাষ্ট্রের মূল ক্ষমতা অর্জনের সঙ্গে রাজনৈতিক এবং সামাজিক আন্দোলনের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। এই অঞ্চলের ইতিহাসের দিকে তাকালে আমরা দেখব, বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন, পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা এ সবই রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনের ফসল।”
“আমাদের বক্তব্য হল, পরিবর্তন সম্ভব। রাজনীতির প্রতি বিতৃষ্ণা নয়, বরং সেই রাজনীতিকেই আমাদের এগিয়ে নিয়ে আসতে হবে, যা সমাজের পরিচালক,” বলেন তিনি।
গোলটেবিল বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা এস এম আকরাম, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, সাংবাদিক গোলাম মোর্তজা, স্থপতি আব্দুর রহিম প্রমুখ।