মাগুরায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আ’লীগ ও যুবলীগ সংঘর্ষ

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।

মাগুরা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 July 2014, 09:51 AM
Updated : 31 July 2014, 09:51 AM

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনা শুরুর পর সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৮০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। পাশাপাশি দ্বন্দ্বরত আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান এবং যুবলীগ নেতা আব্দুল হান্নানকে গ্রেপ্তারও করা হয়।

শ্রীপুর থানার ওসি শাহ মো. আওলাদ হোসেন বলেন, “সামাজিক বিরোধ নিয়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষ বেঁধেছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে ৮০ রাউন্ড ফাকা গুলি ও ৩ রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই পক্ষের প্রধান মশিয়ার চেয়ারম্যান ও হা‎ন্নানকে।” 

এলাকাবাসী আশরাফুল ইসলাম বলেন, “শ্রীপুর সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্পাদক ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমানের সঙ্গে যুবলীগ নেতা আব্দুল হান্নানের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো।

“যুবলীগ নেতা হান্নানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে একই ইউনিয়নের বিএনপি’র সভাপতি নূরুল ইসলাম ধলু ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সবেক সভাপতি রেজাউল মুন্সিসহ বিএনপির একটি দল।”

তিনি জানান, দুই পক্ষের বিরোধ নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে বুধবার রাত ৮টার দিকে শ্রীপুর বাজারে যুবলীগ নেতা হান্নানের সমর্থক বিএনপিকর্মী সোনা মুন্সিকে কুপিয়ে আহত করে মসিয়ার চেয়ারম্যানের সমর্থকেরা ।

এর কিছুক্ষণ পর  হান্নান গ্রুপের লোকেরা  মসিয়ার সমর্থক এবং আওয়ামীলীগ কর্মী চা দোকানি তপুর আলীকে কুপিয়ে ও পায়ের রগ কেটে গুরুতর জখম করে।

এঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হলে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে হান্নান সমর্থকেরা আওয়ামীলীগ কর্মী মুজিবরসহ মশিয়ার সমর্থদের বাড়ি ঘরে হামলা চালায়। এসময় দুইপক্ষ দুই দিকে অবস্থান নিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ৮০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি এবং তিন রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। পাশাপাশি মশিয়ার চেয়ারম্যান ও হান্নাকে গ্রেফতার করে।

ওসি আওলাদ জানান, আহতদের মধ্যে তপুর আলী, ওহিদুল, সোনা, সাগর ও জাকিরকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে আশংকাজনক অবস্থায় তপুর ও ওহিদুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।