মিজারুলকে তলব না করে বদলি কেন: বিএনপি

ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অভিযোগের পরও মোহাম্মদ মিজারুল কায়েসকে ঢাকায় তলব না করে রাষ্ট্রদূত করে ব্রাজিলে পাঠানোয় ক্ষোভ জানিয়েছে বিএনপি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 July 2014, 04:38 PM
Updated : 28 July 2014, 04:38 PM

যুক্তরাজ্যে হাইকমিশনারের দায়িত্ব থেকে মিজারুলকে সরিয়ে দেয়ার বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানানোর একদিন পর সোমবার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী এই প্রতিক্রিয়া জানান।  

সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন সাংবাদিকদের বলেন, “শুনেছি, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার মিজারুল কায়েসকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের নানা অভিযোগ উঠেছে।

“এত সব অভিযোগের পরও কেন তাকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে ব্রাজিলে পাঠানো হল, তা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। সরকারের উচিৎ ছিল, এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে দেশে তলব করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।”

মিজারুল কায়েসও পররাষ্ট্র সচিব ছিলেন। দেড় বছর আগে তাকে হাইকমিশনার করে লন্ডনে পাঠানো হয়েছিল।  

মিজারুল কায়েস

রাষ্ট্রীয় অর্থ খরচে লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশনের অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, অস্বচ্ছতা এবং মিজারুল কায়েসের ক্ষমতার অপব্যবহার ধরা পড়ে সম্প্রতি সরকারি নিরীক্ষায়।

শমসের মবিন বলেন, “পররাষ্ট্র সচিব থাকার সময়ও আর্থিক দুর্নীতির প্রবণতা তার ছিল। বিষয়টি সরকারের জানা থাকার পরও কেন যুক্তরাজ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ দেশে তাকে নিয়োগ দেয়া হলো- তাও প্রশ্নের সৃষ্টি করে।”

৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পূর্বাপর যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনার বিষয়ে যথেষ্ট উদ্যোগ না নেয়ার কারণেও মিজারুল কায়েসের সমালোচনা সরকারের মধ্যে রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রের খবর।

শমসের মবিন বলেন, “আমরা মনে করি, দুর্নীতির অভিযোগের পাশাপাশি ৫ জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনের বিষয়ে মিজারুল কায়েস যুক্তরাজ্যের অবস্থান বদলাতে ব্যর্থ হয়েছেন বলেই তাকে স্কেপ গোট বানানো হয়েছে।”

এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সরকারের ভেতরকার ‘অস্থিরতার’ প্রকাশ ঘটেছে বলেও বিএনপির এই নেতা মনে করেন।